ভাসানচরের পথে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চতুর্থ দফায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী আরও প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে বহনকারী বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

রোববার দুপুর দেড়টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে তাদের বহনকারী অন্তত ৩৭টি বাস রওনা দেয় বলে স্থানীয়রা জানান।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তারা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন।

তাই এই দফায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, এই যাত্রায় রওনা হওয়া বাসগুলোতে এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অন্তত ৩ হাজার রোহিঙ্গা চতুর্থ দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী। রোববার তাদেরই বাস যোগে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে সেখান থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।

এর আগে প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন এবং তৃতীয় দফায় গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তিন হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য শনিবার রাতে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ এবং কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসা হয়। এই নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয় ৫০টির বেশি বাস।

উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক ইমতিয়াজ নুর নিশান বলেন, রোববার দুপুর দেড়টায় প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৩০টি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ছেড়ে যেতে দেখেছেন।
স্থানীয় আরেক সাংবাদিক ইমরান আল মামুন বলেন, ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য চট্টগ্রাম নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আরও অন্তত ২০/৩০টি বাস অবস্থান করতে দেখা গেছে।

ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।