সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রহিমা খাতুন নামের আরেক নারী মারা যান। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার রশিদপুরের অদূরে ব্রিজের কাছে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা হয়। নিহতের সংখ্যা বাড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মো. জয়নাল।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন সিলেটের উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক আল মাহমুদ সাদ ইমরান খান (৩৩), বাসচালক ওসমানীনগর উপজেলার ধরখা গ্রামের মঞ্জুর আলী (৩৮), বাস সুপারভাইজার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিঠাভরা গ্রামের সালমান খান (২৫), হেলপার ধরখা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার রাজানিয়াকান্দি পশ্চিম পাড়ার নুরুল আমিন (৫০), ঢাকার ওয়ারী এলাকার নাদিম আহমদবসাগর (২৯) ও সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার শাহ কামাল (২৭) ও ছাতক বাংলাবাজার এলাকার রহিমা খাতুন (২৫)।

এ ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে ১৫ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখা জানায়, হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিসাধীনরা হলেন রেজাউল করিম (৫০), শামিম (২৩), জসিম উদ্দিন (৩০), আলা উদ্দিন (৬০), সায়ান (১৬), সালাম (৪০), ডা. অন্তরা (৩০), চান বিবি (৬০), শারমিন (৩০), সীমা পারভিন (৩০), সানাত (৩৫), মাহি (০৭), সুর্বনা (৩০) ও সেলিনা পারভীন (৩০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি বাস দ্রুত গতিতে ভুল সাইটে চলে আসার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিলেটগামী গাড়িটি ব্রিজ পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির ওপর উঠে যায়। তখন প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষ হয়।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে কুয়াশা তেমন একটা ছিল না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে দ্রুত গতিতে ওভারটেক করায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে । অথবা একটির চালক ঘুমিয়েও থাকতে পারেন। বিষয়টি পরে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।