মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরে ‘জনস্রোত’

কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই অনুষ্ঠিত হল মেডিকেল কলেজের (এমবিবিএস) ভর্তি পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি মানা হয়নি। পরীক্ষার্থীরা মাস্ক পড়ে পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেন্দ্রের বাইরে ছিল রীতিমতো ‘জনস্রোত’। পরীক্ষার্থী ও তাদের স্বজনদের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর বাইরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।
রাজধানীসহ দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

শুক্রবার বেলা ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ১১টায়।

সারা দেশে ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। ঢাকা মহানগরের ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৭ হাজার।

এদিন রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাদুয়েক আগেই কেন্দ্রগুলোর সামনে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভিড় জমতে থাকে।

এ সময় তাদের মধ্যে ছিল না সামাজিক দূরত্বের বালাই। কেন্দ্রের ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভিড় ঠেলে ধাক্কাধাক্কি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়। কেন্দ্রে ঢোকার সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অথবা স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হলে তা কোনো কাজে আসেনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যানটিন-সংলগ্ন প্রধান গেটটি বন্ধ রেখে শুধু পকেট গেট খোলা রাখা হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সরু পকেট গেট দিয়ে ঠেলাঠেলি করে বের হতে দেখা গেছে। কয়েকজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে করোনা মহামারী উপেক্ষা করে এভাবে পরীক্ষা নেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেককেই ফেসবুকে ভিড়ের ছবি পোস্ট করে মহামারির সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গত বছর অনুষ্ঠিত হয়নি। সংক্রমণ কমলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময়সূচি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ২১ মার্চ ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করেন রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা তৈমুর খান নামের এক ব্যক্তি। ২৪ মার্চ রিটটি হাইকোর্টে খারিজ করে দেওয়া হয়।