ভারত থেকে চিনি-তুলা আমদানির সিদ্ধান্ত পাল্টাল পাকিস্তান

imran khan

প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ভারত থেকে আবারও চিনি ও তুলা আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান। তবে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুতে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ার মধ্যেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাকিস্তান সরকার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে এবং আমদানি বাণিজ্য স্থগিত করে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবার কাজে ফিরেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। ওই বৈঠকে আলোচনা করা হয় ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি করা হবে কিনা। পাকিস্তানের বিরোধীদল এবং কাশ্মীরি জনগণের পক্ষ থেকে কঠোর সমালোচনা সৃষ্টির পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।

এ ঘটনায় মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান সরকার জনগণের চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। কাশ্মীর পরিস্থিতির অগ্রগতি ছাড়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরুর বিরুদ্ধে জনগণের বিরাট একটি অংশ।

জানা যায়, বৈঠকে শেখ রশিদ, মাহমুদ কোরেশি, মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারিসহ পাকিস্তানের একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী ভারত থেকে তুলা-চিনি আমদানির বিরোধিতা করায় বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়।

এদিকে, ভারত থেকে তুলা আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়িক নেতারা। পাকিস্তান অ্যাপারেল ফোরামের চেয়ারম্যান জাভেদ বিলওয়ানির মতে, ভারত থেকে তুলা আমদানির অনুমতি ছিল পুরোপুরি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত এবং এই মুহূর্তে তাদের জন্য এটাই প্রয়োজন। সেই অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানের এ ব্যবসায়িক নেতা বলেন, দেশে যথেষ্ট তুলার সুতা নেই। এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় ইসিসির প্রস্তাব বাতিল বিদেশি ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেবে। ভারত থেকে তুলা আমদানির সিদ্ধান্ত বাতিলের পরপরই এর দাম বেড়ে গেছে জানিয়ে বিলওয়ানি বলেন, সরকার যদি ভারত থেকে তুলা আমদানির অনুমতি না দেয় তাহলে যেন এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে।

সূত্র: দ্যা হিন্দু , টাইমস অব ইন্ডিয়া।