আরেকটি মৃত তিমি ভিড়ল কক্সবাজারের সৈকতে

কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে মৃত অবস্থায় আরও একটি তিমি মাছ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে তিমিটি। এটির ওজন দুই থেকে আড়াই টন হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা। তিমিটি দেখতে সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকালেও একই ধরনের একটি তিমি ভেসে এসেছিল। তিমি দুটির মৃত্যুর কারণ জানতে তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

শনিবার কক্সবাজারের রামু উপজেলার দরিয়ানগরের সমুদ্রসৈকতে জোয়ারের পানিতে যে তিমিটি মৃত অবস্থায় ভিড়ে তার ওজন দুই থেকে আড়াই টন হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে রামুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগীয় বন কর্মকর্মর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, তিমি আমাদের উপকূলীয় প্রাণী না। তদন্তের জন্য আমরা তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করব। পরে তিমি মাছটি মাটিচাপা দেয়া হবে।

আমিন আল পারভেজ আরও বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে সৈকতের হিমছড়ি এলাকায় আড়াই টন ওজনের যে তিমি মাছটি ভেসে এসেছিল, ঠিক তার দক্ষিণে নতুন তিমিটি ভেসে এসেছে। এটার ওজনও আগেরটির মতো হতে পারে। দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি সরে গেলে পুরো তিমিটি দৃশ্যমান হবে। তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় জেলে কামাল উদ্দিন গণমাধ্যকর্মীদের বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি সমুদ্রে মাছ ধরতে নামেন। এ সময় দেখতে পান বিশাল একটি তিমি ভেসে আসছে। তিমিটি দরিয়ানগর সৈকতে ভিড়েছে। আগেরটি ভিড়েছে উত্তর দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হিমছড়ি সৈকতে।

ধারণা করা হচ্ছে, তিমি দুটি একই প্রজাতির। গভীর সমুদ্রে ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হতে পারে। অথবা বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে ফেলার কারণেও তিমির মৃত্যু হতে পারে। এই তিমির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা না গেলেও শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।