যশোরে বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যক্তকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক আটক

Jessore map

বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের পর গর্ভের সন্তান নষ্ট ও বিয়ে করতে অস্বীকার করায় রাব্বি হোসেন মুসা (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ধর্ষণ আইনে মামলা হয়েছে।

মুসা যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে। হামিদপুর কলেজের পাশে রানার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ মিলনের মেয়ে (২০) রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে মামলা করেন।

মামলার বাদি ২০ বছর বয়সী ওই নারী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, পূর্বের স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তিনি তার দাদীর সাথে বসবাস করতেন। কিন্তু মাস চারেক আগে থেকে আসামি রাব্বি হোসেন মুসা তাকে প্রায় সময় প্রেমের প্রস্তাব আর বিয়ের প্রলোভন দেখাতো। তার প্রলোভনে পড়ে মাস দুই আগে তাকে বেজপাড়া বুনোপাড়া এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে রাখে। তার সাথে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। সেখানে থাকাকালে লোক জানাজানি হওয়ার পর তাকে হামিদপুর এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে গত ৬ মার্চ থেকে রাখে। সেখানে গত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাখে। এই সময়ের মধ্যে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যে মুক্তা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। ৭ এপ্রিল রাত সোয়া ১০টার দিকে মুসা ফের তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। কিন্তু বিয়ে না করলে কোন সম্পর্ক করা যাবে না বলে জানালে মুসা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে তার পরিবারের লোকজনকে জানালে মুসা বিয়ে করবে না বলে জানায়। পরে তিনি (মুক্তা) থানায় মামলা করেন।

কোতয়ালি থানার এসআই হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, ওই নারী স্বামী পরিত্যক্ত। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থান রেখে আসামি মুসা একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর তিনি অভিযান চালিয়ে আসামি মুসাকে রোববার সকালে শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার বাড়ি থেকে আটক করেন। রোববার ১৮ এপ্রিল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

তবে এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, রাব্বি ইসলাম মুসা একজন দুর্বৃত্ত্ব। সে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় বেশ কয়েকটি মামলা আছে।