অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় রাষ্ট্রের জন্য সহায়ক: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় রাষ্ট্রের জন্য সহায়ক।

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ভালোকিনি ডট কম এবং বেসরকারি সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (৫ জুলাই) আয়োজিত ‘চরাঞ্চলের গরুর অনলাইন হাট’-এর উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনসমাগম থেকে দূরে থাকা সবচেয়ে প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির গরু ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ রাষ্ট্রের জন্য, সরকারের জন্য বড় সহায়ক। চরাঞ্চলের গরুর অনলাইন হাট শুধু ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্যই নয়, এটি রাষ্ট্রের সুবিধার জন্য। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে আজ চরাঞ্চলের খামারিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হতে পারছেন। চরাঞ্চলের মানুষদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এ প্রকল্প থেকে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে সব সহযোগিতা করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের মানুষদের প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানারকম সমস্যার মধ্যে থেকে জীবন ও জীবিকা নিয়ে লড়াই করতে হয়। তাদের উৎপাদিত প্রাণিসম্পদ যাতে যথাযথ মূল্যে বিক্রয় করা হয় এবং তারা যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা রয়েছে।

চরাঞ্চলের খামারিরা উৎপাদিত প্রাণী নিয়ে যেন কোনোরকম অসহায় অবস্থায় না পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘খামারিদের সুবিধার্থে আমরা বৈধ বা অবৈধ কোনো উপায়েই মিয়ানমার বা ভারত থেকে গবাদিপশু দেশের ভেতরে আসতে দিচ্ছি না। কারণ, গবাদিপশু উৎপাদনকারীদের অনেক অর্থ ব্যয় হয়। তাঁরা যদি ন্যায্যমূল্য না পান, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, বেকার হয়ে যাবেন, তাঁদের উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে যাবে, গ্রামীণ অর্থনীতির সচল চাকা অচল হয়ে যাবে।

এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি সব খামারি ও উৎপাদকদের নিশ্চিত করছি—আপনারা ন্যায্যমূল্যে গবাদিপশু বিক্রি করতে পারবেন। আমরা চাই দেশের প্রাণিসম্পদ বেড়ে উঠুক। সরকার সব প্রকার সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে এবং এ পরিবর্তনের ধারা আমরা অব্যাহত রাখব।