ডেঙ্গু মোকাবিলায় আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান হানিফের

mahabubul alam hanif
ফাইল ছবি

করোনা মোকাবিলায় শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। একই সাথে ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনগুলোকে আশু পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার ১৮ জুলাই রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও ম্যাক্স গ্রুপের উদ্যোগে অক্সিজেন সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, করোনা দুর্যোগে সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রের মত ধনী দেশে সাত লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছে। এই সময়ে সরকারের পাশাপাশি শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে তাদের ব্যবসায়ীরা, শিল্পপতিরা মানুষ ও সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের শিল্পপতিরা মানুষের পাশে সেভাবে দাঁড়িয়েছে বলে জনগণ দেখছে না।

শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। আমাদের যে সম্পদ আছে তা নিয়েই সবাইকে একসাথে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।

জীবন ও জীবিকা দুটোর মধ্যে সমন্বয় রেখে শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তে করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল হচ্ছি। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার পাশাপাশি নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু যেন মহামারি রূপ না নেয় সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের এখনি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

বাসাবাড়িতে পানি জমে এডিস মশা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা এজন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, বিভিন্ন মানুষকে সচেতন করার জন্য জরিমানা করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল কাজ। তবে আপনি একটা বাড়িতে বা একটা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পানি জমছে কিনা তা পরিদর্শন করছেন, জরিমানা করছেন।

কিন্তু সিটি করপোরেশনের অধীনে শত শত ড্রেন নর্দমা আছে, সেখান থেকে অসংখ্য মশা জন্ম নিচ্ছে। সেজন্য জনগণ কার বিরুদ্ধে মামলা করবে, কাকে জরিমানা করবে? একটা, একটা বাড়িতে গিয়ে অভিযান বা পরিদর্শন করা, জরিমানা করা এটা সমাধান নয়‌।

সমাধানের জন্য মেয়ের সাহেবদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সিটি করপোরেশনে যে ড্রেন, নর্দমা, খাল আছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে মশার ওষুধ দিতে হবে। মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এই করোনার মধ্যে ডেঙ্গু মহামারি আকারে দেখা দিতে পারে।

হানিফ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগনকে মাস্ক পরতে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলেছেন। তার নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী করোনার শুরু থেকেই মানুষকে সচেতন করেছেন। কতিপয় রাজনীতিবিদ তখন প্রেসক্লাবের সামনে হাজার লোক নিয়ে সমাবেশ করেছে।

তারা করোনা ছড়িয়ে দিতে সহযোগিতা করেছে। এছাড়া তথাকথিত আলেম নামধারী বক্তা সুপরিকল্পিতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। তারা এমনও বলেছে করোনা আসবেনা, বাংলাদেশে আসবেনা, যদি আসে তবে কোরআন মিথ্যা হবে। এদের এই মিথ্যা প্রচারণায় গ্রামের সহজ সরল মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে। এতে মাস্ক পরতে শিথিলতা দেখা গেছে। এই ভন্ড রাজনীতিবিদ ও ধর্মব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে দুটি পথ খোলা আছে। সবাইকে টিকা দিতে হবে। এতে এন্টিবডি তৈরি হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আশি ভাগ লোককে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে আশা করি। এর আগে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরুন, নিজে সুরক্ষিত হন, অন্যের জীবন সুরক্ষিত করতে সহায়তা করুন।