অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী

hasan mahmud
ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথা বলেন।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ এবং এ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সময়ে সময়ে সরব আবার অনেক সময় প্রচণ্ড নীরব থাকে৷

সংস্থাটির ‘গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে’ দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, এদেশে শত শত মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে হত্যা-দগ্ধ করার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো বিবৃতি দেয় না, ফিলিস্তিনে যখন পাখি শিকারের মতো মানুষ হত্যার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সপ্তাহ চুপ থাকে, আবার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দেয়, তখন এই সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা আসলে হারিয়ে গেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয় ব্যাখ্যা করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই এ আইন। একজন গৃহিণী, সাংবাদিক, রিকশাচালক বা কর্মকর্তা, সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই এই আইন। আগে যখন ডিজিটাল বিষয়টি ছিল না, তখন আইনেরও প্রয়োজন ছিল না।

এখন যখন বিষয়টি এসে গেছে, মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইনেরও প্রয়োজন আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কারো চরিত্রহনন করা হলে, অসত্য অপপ্রচার হলে, তাকে সুরক্ষা দেবার জন্য এ আইন এবং সাধারণ মানুষই এ আইনের আশ্রয় নেয়।

বিশ্বব্যাপী এ ধরণের আইনের উদাহরণ তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুরসহ অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং এ নিয়ে বারংবার কথা বলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের করোনার টিকা নেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা শুভবুদ্ধির উদয় এবং এতে তিনি স্বীকার করে নিলেন যে, টিকা নিয়ে তার পূর্বের অপপ্রচার মিথ্যা ছিল।