ভারতে সংক্রমণ-মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী হলেও বাড়ছে সুস্থতার হার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যাও।

তবে শনাক্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি গত একদিনে ভারতে বেড়েছে সুস্থতার হারও। ফলে অল্প হলেও দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৭১ জন মানুষ।

অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা বেড়েছে দেড় শতাধিক। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৯ জনে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবারও ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৫৪০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু বেড়েছে ১০ জন।

মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮৯ জন। এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে শুক্রবার ভারতে ভিন্ন চিত্র উঠে এসেছে।

অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত রোগীর তুলনায় অল্প হলেও সুস্থ হয়েছেন কম মানুষ। কিন্তু এরপরও ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে।

গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৫৫ জন মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫৭১ জন।

তবে সুস্থতার হার বাড়ায় দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৫ জনে। গত ১৫০ দিনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর ১ দশমিক ১২ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী।

২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এই হার সর্বনিম্ন। এদিকে বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও ভারতে সুস্থতার হার বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যা সর্বোচ্চ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ। টানা ২৫ দিন ধরে দেশটিতে এই হার ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, আগস্ট মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ভারতে মোট ৫০ কোটি ২৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৭১ জনের।