সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই জুলাই মাসে পশ্চিম ইউরোপে চরম বিপর্যয় দেখা গেছে বলে এক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন গবেষকরা।

জার্মানি সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের বরাতে জানা যায়, গত মাসে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চল, বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চল, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে।

১২ ও ১৫ জুলাইয়ের বিপর্যয়ের কারণে শুধু জার্মানি ও বেলজিয়ামে কমপক্ষে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত এলাকায় এখনো স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসেনি।

সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার মাধ্যমে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের উদ্যোগ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, এমন ঘটনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা দায়ী?

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরো ঘন ঘন ঘটছে। ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ইনিশিয়েটিভ নামের উদ্যোগের আওতায় গবেষণা চালানো হয়েছিল।

এর আওতায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মারাত্মক বৃষ্টিপাতের ঘটনা বাড়ছে।

অথচ অতীতে প্রতি ৪০০ বছরে এমন ধ্বংসলীলা দেখা যেত। গবেষণার ফল অনুযায়ী গড় তাপমাত্রা মাত্র শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বাড়লেই সেই সময়সীমা ৩০০ বছর পর পর বড় আকারের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।

সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও বেড়ে চলেছে। তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে গবেষকরা মানুষের কার্যকলাপের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনকেই এমন বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করছেন।