সভাপতি না হলেও পরিচালক থাকতে পারি: পাপন

আগামী অক্টোবরে বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যেখানে তিনি পরিচালক পদপ্রার্থী হলেও সভাপতি আর নাও থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন বোর্ডের বর্তমান সভাপতি।

বুধবার ১ সেপ্টেম্বর মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি চলাকালীন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পাপন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এখন অবধি সভাপতি থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে সবাই চাইলে ভেবে দেখবেন।

প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে আছেন পাপন। বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় পাপন বলেছিলেন, চিকিৎসক তাকে খেলা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে ক্রিকেটের অভিভাবক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনের পর অন্য কারও হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় সহজ নয়। পাপন তাই সঠিক মানুষ খুঁজছেন, যিনি বিসিবির হাল ধরতে পারবেন।

সভাপতি হচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেছেন, পরিচালক হতে পারি, সভাপতি নাও হতে পারি। এবার নির্বাচনটা উন্মুক্ত রাখতে চাচ্ছি।

পাপন বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে নির্বাচন করা, আরেকটা হল বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া। বোর্ড প্রেসিডেন্টের এখন যে কাজগুলো আছে তা তিনটা ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে অবশ্য বোর্ড সভাপতির খুব বেশি প্রয়োজন দেখছেন না পাপন। তবে দলের সাথে সংযোগ রক্ষার ওপর তিনি এবারও গুরুত্বারোপ করেছেন।

বিসিবি সভাপতি হিসেবে দলের ভালোমন্দ দেখভাল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা, টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে যোগাযোগ- সবকিছু মিলিয়ে কাজের চাপ অনেক বেশি হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে বিসিবি সভাপতির।

তিনি বলেন, আমার সমস্যাটা হচ্ছে- টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আগে থেকেই আমার ভালো যোগাযোগ ছিল। মাঝখানে এক বছর ছিল না। গত বিশ্বকাপের পর আবার বেড়েছে।

এটা না করে আমি থাকতে পারব না। আমি যদি সভাপতি থাকি, তাহলে এটা না করে থাকতে পারব না। বিসিবি সভাপতি তাই পরিস্কার করেই বলেছেন, আগামী দিনে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তার জন্য অনেক কঠিন।

তবে একইসঙ্গে যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে বের করে তাকে দায়িত্ব অর্পণও যে সহজ নয়, সে কথাও জানালেন তিনি। বিসিবি সভাপতি বলেন, আমি মনে করি এখানে নতুন কেউ যদি আসে তাহলে ভালো হয়।

পরিচালক হিসেবেও যারা আসতে চায় আসুক। আমাদের গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার একটা চিন্তাভাবনা আমি করছি। এজন্য আমি বলছি- আমি বোর্ডের পরিচালক পদে নির্বাচন করতে পারি, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নাও হতে পারি।