নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন

নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা আনয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জটিল বাধা। উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এর উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় ৭ সেপ্টেম্বর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত উইমেন স্পিকার্স অব পার্লামেন্ট-এর ১৩তম সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন।

২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ এবং নারীদের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য প্রথাগুলো বিলীন হয়ে যাবে’- শীর্ষক আলোচনায় স্পিকার বলেন, ২০৩০ সাল খুব সন্নিকটে এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে লক্ষ্যগুলো অর্জনে সময় খুব বেশি নেই।

তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা আনয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জটিল বাধা। প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, অভ্যাস, আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা,

লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার জরুরি। উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।

স্পিকার আরো বলেন, বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। নারীর প্রতি সহিংসতা সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

এজন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি। ড. শিরীন শারমিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে নারীদের জন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।

করোনা মহামারি ও পরবর্তী সময়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। যথাযথ আইন থাকা সত্ত্বেও এখনো বাল্যবিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

বাল্যবিয়ে রোধে পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো মেয়েদের জন্য শক্তিশালী করা প্রয়োজন। নারী নেতৃত্বকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।