আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইলে তাকে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
১২ সেপ্টেম্বর রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে আইন কমিশনের রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই। তাঁকে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
তবে আবেদন করলেই তা অনুমোদন হয়ে যাবে এমন নয়, এটা সরকারের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথি এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে- আগের মতো এই দুটি শর্তে তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি পান। এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির পর থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন খালেদা। মুক্তির পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি।
পরিবারের সদস্য ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেননি তিনি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথমে পাঁচ বছরের এবং পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।