কংগ্রেসকে বাঁচানোর জন্য পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে মমতা

banerjee

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন।

দিলীপ গতকাল রবিবার বলেন, আজকে তৃণমূলকে বাঁচানোর জন্য পিছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হচ্ছে তাকে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দলে কী চলছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।

এখন জোর করে ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন করাতে হচ্ছে। একবার পদত্যাগ করে দেখুন, দল থাকে কিনা।তবে বিজেপি নেতাদের এসব কথা কান দিতে রাজি নয় তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতাকে পেছনের দরজা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হচ্ছে, এমন বক্তব্যের মাধ্যমে কার্যত মমতার জয় মেনে নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে দুই বার, আসাম, কর্ণাটকে একবার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। আর গুজরাটে হঠাত্ মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী পদত্যাগ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ছয় মাসে চার মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি।

এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, মাত্র ছয় মাসে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ! বিজেপিতে হচ্ছেটা কী’ এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার মামলায় আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি।

ঐ মামলায় সিবিআই এবং ‘সিট’কে দিয়ে দুই পর্যায়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ঘটনাচক্রে, ঐ মামলায় আইনজীবী ছিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শনিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, কোর্টে হারিয়েছি, ভোটেও হারাব।

অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঝাড়গ্রামে এক সমাবেশে বলেছেন, বিজেপি ভবানীপুরে অত্যন্ত শক্তিশালী। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ভবানীপুরকে বিচার করা যাবে না।

যদিও গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছিলেন।