নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির জন্য আত্মঘাতী : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়া তো অনেকের পছন্দ হয় না। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন দেশ বদলে গেছে। এতে তো অন্যের ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

পত্রিকায় দেখলাম এই সরকারের নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি ২০১৪ সালে একবার নির্বাচন বর্জন করেছিল। কোনো লাভ হয়নি, নির্বাচন হয়েছে এবং বাংলাদেশে সাংবিধানিক সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে যাবে, যাবে না এই করতে করতে শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে গিয়েছে পানি ঘোলা করে। এই সিদ্ধান্ত তেমন কিনা জানি না। আমি মনে করে বিএনপির জন্য এই নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে।

কোনো রাজনৈতিক দল যারা জনগণের ভোটের ওপর নির্ভর করে, জনগণের রায়ের ওপর নির্ভর করে তাদের জন্য নির্বাচন বর্জন আত্মহননের সমান। আর যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় তারা অবশ্য নির্বাচন বর্জন করবে।

তিনি বলেন, খুলনায় পূর্ণাঙ্গরূপে বিটিভি চালু হচ্ছে। এছাড়া সকল বিভাগে বিটিভির কেন্দ্র চালু হবে। এর ফলে শিল্প-সাহিত্যর বিকাশ হবে এবং নতুন নতুন প্রতিভা আত্মপ্রকাশ করবে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। নির্বাচনের আগেই খুলনায় বিটিভি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু হবে বলে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব মতাদর্শের সংবাদকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাবে। এ ক্ষেত্রে মতাদর্শ বিচার বিবেচনা করা হবে না। সরকার প্রধান সাংবাদিক বান্ধব। এজন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে সরকার। যা অন্য কোনো দেশে হয়নি। এর আগে সাড়ে তিন হাজার সাংবাদিককে সাড়ে তিন কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

এবারে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে। দুস্থ ও চাকরি চ্যুতদের এ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটা হয়েছে। আমি নিজে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিনি। এটা সম্পূর্ণ তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, এ সরকারের পক্ষ থেকে অনেক ধরণের ভাতা দেয়া হচ্ছে। যা অন্য দেশে দেওয়ার নজির নেই। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা ও গর্ভকালীন ভাতা। তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিডিপি বৃদ্ধিতে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ তিন নম্বরে।

যার ফল স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ থেকে জিডিপি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এ বছর দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০ ডলার, যা ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।