যশোরে প্রতিষ্ঠানে চুরি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুই চোরকে গ্রেফতার

Jessore map

যশোর সদরের বানিয়ারগাতী, বসুন্দিয়া ওশান ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার ৪ অক্টোবর মামলা হয়েছে। চুরির সাথে জড়িত সিসি টিভি’র ফুটেজ দেখে দুই চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী (রেলক্রসিং এর বাম পাশে) রোস্তম আলীর ছেলে আলিফ আল মামুন ও মোহর আলী মোল্যার ছেলে সোয়াইব। মামলায় উক্ত দুই চোরসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ২/৩জন উল্লেখ করা হয়েছে।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের বর্তমানে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামের রোকনুজ্জামানের ছেলে রাফিউজ্জামান বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখিত দুই চোরসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন চোরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামীরা পেশাদার চোর।

বিভিন্ন বাসা বাড়ি,দোকানে অফিসে চুরি করে বেড়ানো তাদের পেশা। তাদের নির্দিষ্ট আয়ের কোন উৎস নেই। সদর থানাধীন বানিয়ারগাতী বসুন্দিয়ায় ওশান ড্রিকিং ওয়াটার নামক একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে ম্যানেজার হিসেবে বাদি কর্মরত রয়েছে।

প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব নিকাশ শেখ করে বাদিসহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ যে যার মতো বাড়িতে ফিরে যায়। গত ২ অক্টোবর সকাল ৮ টায় উক্ত অফিসের হিসাব রক্ষক মোঃ শামীম রেজা অফিসে এসে এবং অফিসে প্রবেশ করে দেখে অফিমের পশ্চিমপাশের ভিতর দরজার তালা ভাঙ্গা,

দরজা ও উক্ত অফিসের ফাইল ক্যাবিনেট এর লকার খোলা। লকারে রক্ষিত নগদ ১লাখ ২০ হাজার টাকা নেই। উক্ত প্রতিষ্ঠানের পশ্চিমপাশের রুমের থাইগ্লাসের লক ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে পাশ্চিম পাশে থাকা ফাইল ক্যাবিনেট এর লকার ও তালা সুকৌশলে ভেঙ্গে উক্ত চুরি সংঘঠিত করেছে।

বিষয়টি হিসাব রক্ষক শামীম রেজা বাদিকে জানালে বাদিসহ উক্ত অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগতসহ স্থানীয় আশপাশের লোকজনদের জানিয়ে এলাকার সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে চোরাই যাওয়া নগদ টাকা

এবং আসামীদের সন্ধান নেয়ার চেষ্টা করে না পেয়ে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে রক্ষিত সিসি ক্যামেরা ওপেন করে ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িত উল্লেখিত আসামীদের উপস্থিতি সনাক্ত করা সম্ভব হয়ে তাদেরকে পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার পূর্বক কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার সকালে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছেন।