অবশেষে পুলিশের মধ্যস্ততায় মায়ের কোলে ফিরলো যমজ বাচ্চা

Jessore map

অবশেষে পুলিশের মধ্যস্ততায় মায়ের কাছে থাকার সুযোগ পেল দু’মাসের দুগ্ধজাত যমজ বাচ্চা।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে পুলিশ দু’পরিবারের মিলন ঘটিয়ে দুগ্ধজাত বাচ্ছাদের মায়ের কাছে থাকার সুযোগ করে দেয়।

এমন মানবিক কাজ করে সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করলো যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) মুকিত সরকার ও খাজুরা পুলিশ।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, পাঁচদিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী হেলাল হোসেন ও বাচ্ছাদের রেখে চলে যায় সোনিয়া খাতুন। এরপর মায়ের দুধ পান করতে না পেরে কান্নাকাটি করতে থাকে জমজ শিশু দুইটি।

কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মা পক্ষের লোকজন ছাড়াছাড়ি করতে চায়। একইসাথে বাচ্ছা দুটিকে পিতার বাড়িতে রাখার তাগিদ দেয়।

খবর শুনে ও বাচ্ছাকে মায়ের কাছে থাকার সুযোগ করে দিতে তরুণ সমাজসেবক সালমান পারভেজ পুলিশের খবর দেন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ও এসআই রাশেদ সরদার বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মা-বাবাসহ দু’পরিবারের লোকজনকে ক্যাম্পে নিয়ে সমঝোতা করার চেষ্টা করে।

কিন্তু সফল হতে না পেরে শুক্রবার বিকেলে আবারও স্থানীয় মাতব্বরদের সাথে নিয়ে গ্রামে মিমাংসা করা হয়। সেখানে সবার উপস্থিতিতে নির্যাতিত না হওয়ার শর্তে সোনিয়া খাতুন শ্বশুর বাড়ি থাকতে রাজি হয়।

একইসাথে বাচ্ছা দুটিও পাঁচদনি পর মায়ের স্নেহের আঁচলে থাকার সুযোগ পায়। বাচ্ছা মায়ের কোলে যাওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে এখন অনেক খুশি ও পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে এসআই রাশেদ সরদার বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার স্যারের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় দু’দিন তৎপরতা চালানোর পর শুক্রবার বিকেলে দু’পরিবারকে সমঝোতায় আনা হয়। এলাকা বাসীর উপস্থিতিতে কাজটি করা হয়। বর্তমান বাচ্ছা দুটি মায়ের কাছে আছে বলে জানান তিনি।