বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিভিলে অফিস সহকারী পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
সোমবার মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীনের স্ত্রী শাহিদা খাতুন।
আসামিরা হলেন একই গ্রামের মৃত সদর আলী বিশ্বাসের ছেলে রেজাউল ইসলাম, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার হেলাল খানের ছেলে মনির হোসেন ও বাগেরহাট ফকিরহাটের খাজুরা গ্রামের নুর মোহাম্মদের জামাই রাজু আহম্মেদ।
অভিযোগ আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী শাহেদা খাতুনের ছেলে জুবায়ের হোসেন সেনাবাহিনীতে চাকরির আবেদন করে। এরপর পূর্ব পরিচিত রেজাউল বাড়িতে এসে বলে, তার নিকটতম লোক রয়েছে যে চাকরি দিতে পারবে।
এসব বলে সে আট লাখ টাকা দাবি করে। তাকে বিশ্বাস করে ২০১৮ সালের ১০ মার্চ দু’লাখ, ২২ মার্চ ছয় লাখসহ মোট আট লাখ টাকা প্রদান করেন বাদীর পরিবার।
এরপর বাদীর ছেলের মোবাইলে একটি মেসেজ আসে, যেখানে ঐ বছরের ২৩ জুলাই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যোগদান করার কথা বলা হয়। বাদীর ছেলে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে গেলে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভুয়া মেসেজ বলে জানান।
খবর শুনে হতাশাগ্রস্থ জুবায়ের আসামিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আগামী বার চাকরি দেবেন বলে জানান। আসামিদের কাছে তারা চাকরি কথা বললে অথবা টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে।
একপর্যায়ের চলতি বছরের পহেলা অক্টোবর আসামিগণ বাদীর বাড়িতে আসে এবং মীমাংসার জন্যে বসলে টাকা দিবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।