পোলট্রি খাদ্যের কাঁচামাল আর রফতানি হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

কিশোরগঞ্জ জেলায় পোলট্রি ফিড ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে শহীদ সৈয়দ নজরুল চত্বরে মঙ্গলবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খামারিরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।

মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর পোলট্রিবান্ধব বাজেট, স্বল্প মূল্যে পোলট্রি ও মৎস্য ফিড এবং ডিম, মুরগি ও মাছের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে কিশোরগঞ্জে পোলট্রি ব্যবসায়ীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বক্তারা বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পোলট্রি ফিডে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিরা। পোলট্রি খামারিদের সুরক্ষায় পোলট্রি খাতের ওপর আরোপিত কর ও শুল্ক বাতিলের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনের বক্তাদের বক্তব্য জানার পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি ঘোষণা দিয়েছেন, এই সংকট চলাকালীন পোলট্রি খাদ্যের অন্যতম কাঁচামাল সয়াবিন বাংলাদেশ থেকে আর রফতানি হবে না।

এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব খন্দকার মো. মহসীন। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল পোলট্রি পণ্যের দাম কমানো হবে।

কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে তার বিপরীত। বাজেট ঘোষণার পর থেকেই পোলট্রি খাদ্যের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলছে। পোলট্রি খাদ্য বস্তাপ্রতি ২২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে লেয়ার প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ২ হাজার ২০০ টাকা ও ব্রয়লার প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ২ হাজার ৭৫০ টাকার অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় পোলট্রি ফিডের দাম বাড়লে ব্যবসা গুটিয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হতে হবে।

বক্তারা জানান, পোলট্রি বৃহত্তর কৃষির অংশ। কিন্তু কৃষির মতো কোনো সুযোগ-সুবিধা তারা পাচ্ছেন না। জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর থেকেই খাদ্যের দাম কমবে বলে খবর প্রচারিত হয়।

এতে খামারিদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু বাজেটে পোলট্রি কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক ও কর না কমিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পোলট্রি ফিডের দাম বাড়ানো হয়।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী পোলট্রি বিমার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। তাই সরকারের প্রতি খামারিদের দাবি এ খাতকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে পোলট্রি ফিডের দাম কমাতে হবে।