কালিয়ায় এমপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণের অভিযোগ

নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তিসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে ফাঁকাগুলি বর্ষণসহ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাপন্ড করে দেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, এমপি কবিরুল হক মুক্তি আজ রোববার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন।

নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, কালিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত বর্ধিত সভা স্থানীয় (কালিয়া শহর) কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শনিবার বিকেলে দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানে হাজির হন।

অনুষ্ঠানস্থলে এমপি কবিরুল হক মুক্তি উপস্থিত হলে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ এমপিকে মঞ্চে আসন গ্রহণের জন্য আহবান জানান। এ সময় এমপি কৃষ্ণপদ ঘোষকে গালিগালাজ আচরণ করেন।

হঠাৎ করে এমপির লোকজন অবৈধ অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এ হামলা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে মাগুরা সদরের জগদল গ্রামে চারজন নিহতের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ নেতা নিলু বলেন, আমি নেতাকর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা না করলে কালিয়ায় প্রাণহাণির মতো ঘটনা ঘটতে পারত।

বিষয়টি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে লিখিত ভাবে অবগত করব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন, দেবাশিস কুন্ডু মিটুল, সদস্য মাহমুদুল হাসান কায়েস,

নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুন্ডসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোসকে আহবান জানালেও তিনি সংবাদ সম্মেলনের আসার কোনো আগ্রহ দেখাননি বলে অভিযোগ করেন নিজাম উদ্দিন খান নিলু।

এ ব্যাপারে কবিরুল হক মুক্তি এমপি বলেন, কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন। ওই প্রার্থীরা যখন জেনেছেন, তারা মূল্যায়ন (প্রার্থী হিসেবে) পাচ্ছেন না; তখন ক্ষিপ্ত হয়ে তারাই বর্ধিত সভা পন্ড করে দিয়েছেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণপদ ঘোষ বলেন, এমপিসহ তার লোকজন ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হামলা চালিয়ে বর্ধিতসভা পন্ড করে দিয়েছেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা ঠিক নয়।