নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু এবং কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুন অর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক কালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ মিলে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন।
ইউনিয়নগুলোতে প্রকৃত নেতাকর্মীদের দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হচ্ছে।
গত শনিবার বিকেলে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হট্টগোল প্রসঙ্গে কবিরুল হক মুক্তি বলেন, দলের সদস্য হিসেবে আমি মিটিংয়ে যাই।
সেখানে গিয়ে দেখি, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যারা আ’লীগ নেতা কৃষ্ণপদ ঘোষকে মোটা অংকের টাকা দিয়েও মূল্যায়ন (প্রার্থী হিসেবে) পাচ্ছেন না; তারাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বর্ধিত সভা পন্ড করে দিয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বর্ধিতসভায় ফাঁকা গুলিবষর্ণের অভিযোগ করলেও কবিরুল হক মুক্তি বলেন, এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বিষয়টি প্রশাসনসহ নেতাকর্মীরা অবগত আছেন।
এমপি মুক্তি আরো বলেন, নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে আমি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্ব›দ্বী আমি মনে করি না। বরং তার কারণেই নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্ত শুরু হয়েছে। তিনি (নিলু) আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা নিলেও দুঃসময়ে কখনোই মাঠে ছিলেন না।
এছাড়া অপরের জমি দখল করে নিজের বাড়ি গড়ে তুলেছেন। শিক্ষা সনদও জাল করেছেন। এদিকে, নিলু দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও পৈতৃকসূত্রে মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বীরমুক্তিযোদ্ধা মোল্যা এমদাদুল ইসলাম, কালিয়া পৌরসভার সাবেক তিন মেয়র এমদাদুল হক টুলু, একরামুল হক টুকু ও ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন,
কালিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ইব্রাহিম শেখ, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খান রবিউল ইসলাম, যুগ্মআহ্বায়ক আশিষ কুমার ভট্টাচার্যসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।