জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশায় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত কপ-২৬ সম্মেলন।
সেই সম্মেলনে মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারকে ক্রমশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এসময় তিনি বলেন, আমরা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়ছি।
সোমবার জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। খবর বিবিসির
এসময় তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রতি আমাদের আসক্তি মানবতাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। হয় আমরা এটি বন্ধ করব, না হয় এটি আমাদের থামিয়ে দিক। আর নয়।
এখন বলার সময় এসেছে, যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কার্বন নিঃসরণ নিজেদের মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট হয়েছে। প্রকৃতি ধ্বংস করে দেয়া যথেষ্ট হয়েছে।
আমাদের পথ দিনদিন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। আসলে আমরা নিজেদের কবর নিজেরা খনন করছি।রোববার শুরু হওয়া এ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধি ২০৩০ সালের মধ্যে তারা কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমাবেন এবং পৃথিবী নামক গ্রহকে সাহায্য করবেন, তার ঘোষণা দেবেন।
মানুষের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাসে বিশ্ব ক্রমশ উষ্ণ হয়ে উঠছে; সে কারণেই বিজ্ঞানীরা ভয়াবহ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ চাইছেন। না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে সতর্কও করেছেন তারা।
সম্মেলনে ধনী দেশগুলোর কাছে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অর্থায়ন চাহিদার স্বীকৃতি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বিশেষ করে দরিদ্রতম ৪৮টি দেশ সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্তু অথচ বিশ্বে কার্বন নিঃসরণে তাদের অবদান মাত্র পাঁচ শতাংশ।
তাদের অর্থায়ন চাহিদার স্বীকৃতি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর যৌথ পদক্ষেপের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে প্রাধান্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
কপ২৬ সম্মেলনে কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়নে ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাসন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
