আওয়ামী লীগই নুর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানি করে: নুর

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, নুর হোসেনের আত্মত্যাগ ৯০ এর গণআন্দোলনকে বেগবান করেছিলো।

আওয়ামী লীগ নুর হোসেনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করলেও আওয়ামী লীগই নুর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানি করে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের সাথে জোট করেছে। স্বৈরাচার এরশাদের জোট করে তারা মহা স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যর্থতা বিদ্যমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের।

তাই আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নতুন রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের গঠন করেছি।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নুর হোসেনের আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে গণ অধিকার পরিষদ কাজ করে যাবে।এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৭ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত নুর হোসেনের আত্নত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণ অধিকার পরিষদ।

আজ গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট নুর হোসেন চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।

গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, নুর হোসেনের আত্মত্যাগ ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো।

জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকা আজকের স্বৈরাচার পতনেও নুর হোসেনের মতো অসংখ্য মানুষ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে মানুষকে তার হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশের জনগণকে গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে সারা দেশে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবো।