ভারতের কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিল ভিয়েতনাম

ভারতের স্থানীয়ভাবে তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ভিয়েতনাম।

বুধবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বিশ্বের নবম দেশ হিসেবে ভিয়েতনাম কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে, গত জুলাইয়ে ভিয়েতনামের সরকার ভারতের কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে।

গত বুধবার ভারতের হায়দরাবাদভিত্তিক ওষুধ কোম্পানি ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়।

ডব্লিউএইচও বলছে, ১৪ অথবা তারও বেশি দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ নেয়া হলে কোভিড-১৯ এর যেকোনও ধরনের তীব্রতার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন প্রায় ৭৮ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

সংরক্ষণের ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশের জন্য অত্যন্ত উপযোগী এই টিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়ায় ভারতের এই টিকা অন্যান্য দেশেও অনুমোদন পাবে বলে ভারত বায়োটেক আশাপ্রকাশ করেছে।

ভারত বায়োটেক বলেছে, কোভ্যাক্সিনের গুণাগুণ অব্যবহৃত অবস্থায় ১ বছর পর্যন্ত অক্ষুণ্ন থাকে। দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এ বিষয়ে একটি সনদপত্র ভারত বায়োটেককে দিয়েছে।

ভারত বায়োটেকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা টিকার মেয়াদ বিষয়ক তথ্যসমূহ সিডিএসসিও বরাবর জমা দিয়েছিলাম। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে সিডিএসসিও এই সনদ দিয়েছে। সিডিএসসিওর সনদ অনুযায়ী, টিকা প্রস্তুতের দিন থেকে পরবর্তী ১২ মাস পর্যন্ত মেয়াদ ও গুণাগুণ অক্ষুণ্ন থাকে কোভ্যাক্সিনের।

বর্তমানে বাজারে যেসব করোনা টিকা পাওয়া যায়, সেসবের অধিকাংশেরই মেয়াদ ৬ মাস। অর্থাৎ প্রস্তুতের দিন থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যবহার না করা হলে নষ্ট হয়ে যায় সেসব টিকার ডোজ। এছাড়া ফাইজার-মডার্নার করোনা টিকা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ তাপমাত্রার।

সেই তাপমাত্রায় রাখা না হলে এমনিতেই টিকার প্রতিরোধী গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই কোভ্যাক্সিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।

উৎপাদনের প্রথম দিকে অবশ্য অন্যান্য টিকার মতো ৬ মাস মেয়াদ ছিল কোভ্যাক্সিনেরও। তবে চলতি বছর গোড়ার দিকে টিকার মেয়াদ বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয় ভারত বায়োটেক।

ভারতের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো যদি তাদের উৎপাদিত টিকার মেয়াদ বাড়ায়, সেক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে টিকার অপচয় অনেকাংশে কমে আসবে।