করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ পেল আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রতিষেধক ওষুধ মলনুপিরাভির খাওয়ার আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ উদ্দিন মিঞা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের যদি মৃদু ও মাঝারি ধরণের লক্ষণ থাকলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।

পাশাপাশি রোগীর বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও অন্যান্য কোমরবিডিটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের এই ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত জটিল রোগীদের এবং কোভিডের লক্ষণ প্রকাশের পাঁচ দিন পার হয়ে গেলে এই ওষুধ কার্যকর হয় না।

গত সপ্তাহে দেশীয় তিনটি ওষুধ কোম্পানিকে মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপরই অনুমোদন পাওয়া বেপিমকো,

এসকেএফ এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস মনলুপিরাভির বাজারে এনেছে। দেশে প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। আক্রান্ত রোগীকে পাঁচ দিনে ৪০টি ক্যাপসুল খেতে হবে।

দিনে দুবার করে এই ওষুধ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপরই মহামারী থেকে মুক্তিতে নতুন আশার সঞ্চার ঘটে।