কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে ১৬ টি ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে নৌকা-৯, বিদ্রোহী-৭

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের ৯ জন চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । রোববার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় যা বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে।

জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস সালেক জানিয়েছেন, কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন- জামাল ইউনিয়নে মোদাচ্ছের হোসেন (নৌকা) , কোলা ইউনিয়নে আলাউদ্দিন-আল আজাদ (স্বতন্ত্র),নিয়ামতপুর ইউনিয়নে রাজু আহমেদ রনি লস্কার (নৌকা),

সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নে নাছির উদ্দীন (নৌকা), ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম রিতু ( স্বতন্ত্র), মালিয়াট ইউনিয়নে আজিজুল খাঁ (স্বতন্ত্র), কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে আয়ুব হোসেন খান (নৌকা)ও রাখালগাছী ইউনিয়নে মহিদুল ইসলাম মন্টু (নৌকা)।

উল্লেখ্য মোট ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আগেই ৩ জন নৌকার প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। অপরদিকে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন-এলাঙ্গী ইউনিয়নে মোঃ মিজানুর রহমান(নৌকা), বলুহর ইউনিয়ন মোঃ নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), সাফদারপুর ইউনিয়ন মোঃ আব্দুল মান্নান(স্বতন্ত্র), দোড়া ইউনিয়ন মোঃ আব্দুল জলিল বিশ্বাস (স্বতন্ত্র) ও কুশনা ইউনিয়ন মোঃ শাহারুজ্জামান সবুজ (স্বতন্ত্র)নির্বাচিত।রোববারের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।পুলিশ সুপার মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন ,নির্বাচন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

তিনি জানিয়েছেন, পূর্বের মতই এ দুই উপজেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।এরি ফলে সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়ে ব্যপক উৎসাহে ভোট প্রদান করেন।প্রতি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্যের সাথে ২৪ জন আনসার ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।

প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মোব্ইাল টিম এবং প্রতি ৩ টি ইউনিয়নের জন্য একটি করে ষ্ট্রাইকিং ফোর্স টহলরত থাকার কারণে কোথাও কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিষ্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বরত ছিলেন । এ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলরত অবস্থায় ছিলেন।