লঘুচাপ হয়ে দেশে ঢুকবে ‘জাওয়াদ’, ঝরতে পারে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ ঘণ্টায় ছয় কিলোমিটার বেগে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মধ্যরাতে এটি পুরী উপকূলে পৌঁছাবে। এরপর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ৫ ডিসেম্বর সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে।

ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূলে সোজাসুজি না ওঠে কূল ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগুবে ঘূর্ণিঝড়টি। বাংলাদেশে যখন ঢুকবে তখন দুর্বল হয়ে কেবল বৃষ্টি ঝরাবে।

আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দস বলেন, জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এটি রোববার সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে দেশে ঢুকবে। কিছুটা ঝড়-বৃষ্টি হবে আগামী দুই-তিনদিন।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি শনিবার ৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।