প্যান্ডোরা পেপারস, ‘কিছু করার নেই’ অর্থমন্ত্রীর

mustafa kamal
ফাইল ছবি

প্যান্ডোরা পেপারস নামে পরিচিতি পাওয়া অবৈধভাবে বিদেশে বিনিয়োগকারীদের যে নতুন তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে নাম আসা বাংলাদেশিদের বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তিনি।

পানামা ও প্যান্ডোরা পেপারস নামে পরিচিতি পাওয়া কেলেঙ্কারিতে নাম আসা বাংলাদেশিদের নাম দুদক উচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কাজেই বিচারাধীন বিষয়ে আমার পক্ষে কিছু বলা ঠিক হবে না।

বুধবার অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় যে তালিকা প্রকাশ হয়, তাতে আট বাংলাদেশির নাম উঠে এসেছে।

এতে নাম থাকা নারী নিহাদ কবীর ২০১৭ সাল থেকে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্টের পদে রয়েছেন। ক্যাপিটাল ফেয়ার হোল্ডিংস লিমিটেড নামে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে তার মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০০৮ সালের ৮ আগস্ট ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে অফশোর কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

এই নথিতে ইসলাম মঞ্জুরুল নামের আরেক বাংলাদেশির নাম রয়েছে। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডসে ওরিয়েন্টাল এগ্রিকালচারাল কেমিক্যাল কোম্পানি নামে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। তার যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।

অন্য বাংলাদেশি যাদের নাম নথিতে ফাঁস হয়েছে তারা হলেন সাইদুল হুদা চৌধুরী, আনিতা রানী ভৌমিক, সাকিনা মিরালি, মোহাম্মদ ভাই, ওয়াল্টার প্রাহমাদ ও ড্যানিয়াল আরনেস্টো আয়ুবতী। এই আটজনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাদের নাম নতুন করে এসেছে তাদের তালিকা ও হাইকোর্টে জমা দিবে দুদক।

আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়বিচার পাব এবং আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা মেনে নেব। এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে উচ্ছ্বাশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বলেন, দেশ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে করে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বিশ্বের শীর্ষ ২০ টি দেশের মধ্যে একটি হব।

মন্ত্রী বলেন, ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসনীয়। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমরা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছি। স্বাধীনতার প্রথম ৩৮ বছর আমাদের জিডিপির আকার ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা চার গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে।

এই অর্জন এদেশের সাধারণ মানুষের। আমি বিশ্বাস করি এই অর্জন আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকনোমিক বিজনেস রিসার্চ-এর সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ২৫ তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে।