মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কাজ করছেন তিন মন্ত্রী

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ১৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একথা জানান।

র‌্যাবের সাত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

কারণ, এটা নিয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যান্ডেল করছেন। তাই এটা নিয়ে আর আলোচনা হয়নি।

মন্ত্রিত্ব হারানো একজন সংসদ সদস্য বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে পারেননি—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি তো ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কথাও বলেছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বর্তমান মহাপরিচালক মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বেনজীর আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়া র‌্যাবের অন্য কর্মকর্তারা হলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার,

সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খান।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‌্যাব-৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।