যশোর সদর হাসপাতালে ছাত্রলীগ ও কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতি

jessore hospital

যশোর সদর হাসপাতালে ছাত্রলীগ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘঠেছে। বুধবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এরপর প্রায় তিন ঘন্টা হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা ব্যহত হয়।

পরে বিকাল পাঁচটার দিকে হাসপাতালের সুপার এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, এক ইন্টান চিকিৎসক ও এক কর্মচারীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে বাইরের থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ওই কর্মচারীকে মারধর করেন।

এতে হাসপাতাল চত্বরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সেখানে যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াসের নেতৃত্বে বহিরাগতরা এসে পরিস্থিতি জঠিল করে তোলেন।

এসময় দুই পক্ষ হাসপাতাল চত্বরে একে অপরের বিপক্ষে শ্লোগান দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এজন্য দুপুর দুইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হয়। জানা যায়, পরিস্থিতি স্বভাবিক করতে হাসপাতালের তত্তাবধায়ক আক্তারুজ্জামান, আরএমও আরিফ আহমেদ,

বিএমএ’র সভাপতি কামরুল ইসলঅম বেনু, সাধারণ সম্পাদক এমএ বাসার, মাহমুদ হাসান বিপু, শফিকুল ইসলাম জুয়েল, সালাউদ্দিন কবির পিয়াসের সাথে বৈঠক করেন। তবে সেই বৈঠকে কোন সুরাহ হয়নি। পরে রাতে আরেক দফা বৈঠক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

হাসপাতালের এক্সে বিভাগের ইনচার্জ মৃত্যুনঞ্জয় রায় বলেন, দুপুরে সোহানুর রহমান সোহাগ নামে এক ইন্টান চিকিৎসক এক্সে-রে করাতে আসেন। তিনি সবার আগে তার কাজ করে দিতে বলেন।

কিন্তু হাতে কাজ থাকায় এক্সে বিভাগের কর্মচারী মেহেদী হাসান একটু অপেক্ষা করতে বললে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে তাকে গালাগালি করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে
মারপিট করেন। আমরা হাসপাতালের সুপার স্যারের কাছে সুষ্টু বিচার চেয়েছি।

যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ইন্টান চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাদ জাহান দিহান বলেন, সিনিয়র চিকিৎসকদের অবর্তমানে আমরাই হাসপাতাল চালাই। কিন্তু কর্মচারীরা আমাদের সাথে দুব্যবহার করেছে। তাদের বিচার করতে হবে।

হাসপাতালের তত্তাবধায়ক আক্তারুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে বা যারাই এই ঘটনায় দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।