যশোরে সাব্বির হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা

কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর
কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর

যশোর শহরের শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সাব্বির (২০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। নিহত সাব্বির ওই এলাকার আকবর আলীর ছেলে ও পেশায় চা-দোকানী।

নিহত সাব্বিরের মা শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার আকবর আলীর স্ত্রী মাসুরা খাতুন (৪২) বাদি হয়ে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) মামলা করেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৯/১০ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হচ্ছে শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার নুরনবী মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাফিজুর রহমান নাপিত প্রকাশ ওরফে হাফিজুর রহমান সরদারের ছেলে মুসা (২৪) খুলনা ফুলতলার জামিরা গ্রাম বর্তমানে শংকরপুর জমাদ্দার পাড়া মৃত লিয়াকতের টিন সেডের ভাড়াটিয়া ওসমান মোল্লার ছেলে মোঃ মনিরুল প্রকাশ মনি (২৮)

মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের বর্তমানে শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার মৃত লিয়াকতের টিন সেডের ভাড়াটিয়া মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে এনামুল হোসেন ওরফে এনা (২৪) শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার সেলিম মিয়ার ছেলে রায়হান (১৭)

শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলমগীর হোসেন আলী প্রকাশ ওরফে বেড়ে আলীর ছেলে সুইট (১৯) শংকরপুর ছোটনের মোড় মেম্বারপাড়ার কাজলের ছেলে বুলেট সাগর (২২) বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের কাছে জিরো পয়েন্ট পিতা অজ্ঞাত তানভীর (২৩)। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

মামলার অভিযোগে বাদি মাসুরা খাতুন বলেন, তার দুই ছেলে রাব্বি ও সাব্বির। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি নিজে রাত ৩টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উত্তরপাশে মণিহার রোডে একটি দোকানে চা, পুরিসহ বিভিন্ন খাদ্যখাবার তৈরী করে বিক্রি করেন।

ঘটনার দিন ১৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাব্বিরের মোবাইল ফোনে একটি রিং আসে। ওই ফোনে কথা বলা শেষে সাব্বির তার মা মাসুরা খাতুনকে বলে কিছু সময়ের জন্য সে বাইরে যাচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকার ছোট্ট একটি ছেলে দৌড়ে এসে বলছে কারা যেন সাব্বিরকে কুপিয়েছে।

এসময় সাব্বিরের মা ও ভাই দৌড়ে শংকরপুর টার্মিনালের পাশে জনৈক হাজী শহিদুল ইসলামের মাহিন্দ্র ও ইজিবাইক গোডাউনের পকেট গেটের কাছে গিয়ে দেখেন মুসা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করছে। পাশাপাশি মুসার সাথে

থাকা লোকজনও একই ভাবে ছুরিকাঘাত করছে। এরপরে সাব্বিরের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে ওই সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সাব্বিরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

সাব্বির হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক আছে কিনা জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, এখনো কেউ আটক হয়নি। তবে পুলিশের একাধিক টিম আসামি আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে।