যশোর খুলনা মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

যশোর মনিহার, মুড়লী সড়কের পাশের ৬৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এগুলো উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনা আইটি পার্কের সামনে জেলা পরিষদের ৩০ দোকান অভিযানে ভাঙ্গা পড়েছে।

মামলা থাকায় মনিহার এলাকার কোকো হোটেল, ফল মার্কেট ও মুন মার্কেট ভাঙ্গা হয়নি বলে জানান নির্বাহি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। অফিস সূত্র জানিয়েছে, মনিহার, মুড়লী ফোর লেনে উন্নীত করণের লক্ষে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বাকি অবৈধ স্থাপনা গুলো উচ্ছেদ করার কাজে জেলা পরিষদের আপত্তি থাকে। সেই সাথে কোকো মার্কেট,ফল মার্কেট ও মুনমার্কেটের মামলার কারনে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

২৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানী রাজনৈতিক প্রতিনিধি, জন প্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় রাস্তা নির্মান কাজে মার্কেট ভাঙ্গায় সম্মতি দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

যার প্রেক্ষিতে বুধবার বুধবার মনিহার মুড়লী সড়কের ধারের ৬৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। এসময় জেলা পরিষদ মার্কেটের ৩০টি সেমিপাকা দোকান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা অনিন্দিতা রায়।

উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ মাহমুদ ও মাসুদ ডাকুয়া। একাজে সহযোগিতায় করে হাইওয়ে পুলিশ,বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস।

নির্বাহি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মামলার কারনে কাকো হোটেল, ফল মার্কেট ও মুন মার্কেট উচ্ছেদ করা যায় নি।

মামলা নিষ্প্রতি হলে পরে উচ্ছেদ করা হবে। এদিকে জেলা পরিষদ মার্কেটের দোকান উচ্ছেদ করাই বিপাকে পড়েছে ব্যববসায়ীরা। সালাম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মালিক শেখ সালাম জানান এ জায়গা আগে গর্ত ছিল। আমরা মাটি দিয়ে ভরাট করেছি। এর দোকান নির্মান করে ব্যবসা করছি।

ডিসি আরের মাধ্যমে টাকা দিই । অথচ মঙ্গলবার বিকেলে আমাদের মৌখিক ভাবে বলেছে মালামাল সরিয়ে নিতে। কোন নোটিশ দেয়নি। সকালে ভেঙ্গে দিল দোকান। একই কথা জানান ওয়েন্ডিংয়ের দোকানদার কোরবান আলী,শাহাজাদ মটরের সত্ত¡াধিকারী সহ আরো অনেকেই।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল জানান, আমাদের জায়গা রাস্তার ধারের জায়গা। সেখানে পাকা ঘর নির্মানের কোন নিয়ম নেই। দোকানদাররা সেমি পাকা ঘর নির্মান করে ব্যবসা করছে। এজন্য ব্যবসায়ী রা নিজেই দায়ী।