যশোরে ইজিবাইক বন্ধে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

যশোর শহরে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে শহরের অবৈধ ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, বাস, ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) শহরে মাইকে প্রচার করা হয়। ফলে বুধবার শহরে ইজিবাইক চলাচল করেনি। একই সাথে শহরের টাউন হল মাঠের আলমগীর সিদ্দিকী হলে বিএনপির সমাবেশ থাকায় শহরের সবগুলি প্রবেশ মুখে পুলিশ প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করে।

এ সব কারণে শহরের যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি মানুষের চলাচলও ছিলো সীমিত। এদিকে শহরে ইজিবাইক চলাচল করতে না পারায় গ্রামগঞ্জ থেকে বিভিন্ন কাজে এসে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়।

বাস থেকে নেমে গন্তব্যে পৌছুতে মানুষকে হিমশিম খেতে হয়। শহরের বাইরে সামান্য কিছু ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করলেও পুলিশি বাধার কারণে তারা শহরের ঢুকতে পারেনি।

পায়ে হেটে মানুষকে গন্তব্যে পৌছুতে হয়। শহরতলীর শেখহাটি বাবলাতলার বাসিন্দা ইজিবাইক চালক আব্দুল্লাহ জানান, তিনি মাস চারেক ইজি বাইক চালাচ্ছেন। কিন্তু এর আগে এমন বাধার শিকার হননি।

তিনি বলেন, তার গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক আছে। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে শহরে ঢোকা যাচ্ছে না। শহরে ঢুকলে গাড়ি আটক করা হচ্ছে। যে কারণে ভাড়া খাটতে পারছেন না।

যে দুএকটি ভাড়া পাচ্ছেন তা দিয়ে চালডাল কিনে খাবেন। শহরের রেল গেটের বাসিন্দা ইজি বাইক চালক ছাব্বির হোসেনও প্রায় একই কথা বললেন। তিনি বলেন, বাইকে যাত্রী নিয়ে শহরে ঢোকা যাচ্ছে না।

পুলিশ ও পৌর সভার লোকজন বাইক আটক করছে। যে কারনে ভাড়া খাটা যাচ্ছে না। আর ভাড়া খাটতে না পারলে ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেযে থাকতে হবে।

শহরের ঘোপ জেলরোড বউ বাজারের বাসিন্দা ইজিবাইক চালক জিসান বলেন, বাইকের ভাড়া আছে। কিন্তু শহরে ঢুকতে না দেয়ায় খাটতে পারছি না।

অন্যদিকে বাইক না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হন ষাটোর্ধ বৃদ্ধ রোকন। শহরের মনিহার থেকে পায়ে হেটে তিনি শহরে এসেছেন। শহরের বটতলা হোটেলের সামনে তার সাথে কথা হয়।

তিনি বলেন, তার বাড়ি অভয়নগরে। তিনি অভয়নগর থেকে বাসে করে যশোর আসেন বিএনপির সভা শোনার জন্য। মনিহার স্ট্যান্ডে নেমে কোন বাইক পাননি।

ফলে পায়ে হেটে তিনি শহরের টাউন হলে জনসভা শুনতে যাচ্ছে। শহরের রাজারহাটের বাসিন্দা সলেমান বলেন, বুধবার সকালে তিনি রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন। কিন্তু কোন বাইক পাননি।

অনেক কষ্ট করে পরিচিত একজন ইজিবাইক চালক বলে রোগী নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু আসার সময় মনিহার স্ট্যান্ডে পুলিশ তাদের বাইক আটকে দেয়। অনেক অনুনয়বিনয় করে বাইক নিয়ে হাসপাতালে আসি।