যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগে মামলা

কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর
কোতয়ালি মডেল থানা, যশোর

যশোরে ২ লাখ যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে মারপিট করে জখমের অভিযোগে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। শহরতলীর চাঁচড়া পূর্বপাড়ার মিজানুর রহমানের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন বাদি হয়ে ২ জানুয়ারি মামলা করেন।

মামলায় স্বামী দেবরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে সদরের সাড়াপোল বাজার এলাকার মফিজুর রহমানের দুই ছেলে আলামিন হোসেন মিলন (২৫) নাজমুল হোসেন (২০) মফিজুরের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম (৪৫)।

এক নং আসামি আল আমিন হোসেন মিলনের সাথে বাদি সুমাইয়া খাতুনের ২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিযে হয়। বিয়ের পর থেকে আসামি নাজমুল হোসেন ও জাহানারা বেগমের ইন্ধন ও কু পরামর্শে আসামি স্বামী আলামিন হোসেন মিলন স্ত্রী সুমাইয়ার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে।

ঘটনাটি সুমাইয়া তদার পিতাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় সাংসারিক মালামালসহ নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপরও আসামি আলামিন হোসেন মিলন ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী সুমাইয়ার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

বেশ কয়েকবার সুমাইয়ার পিতা মিজানুর রহমান জামাই আলামিন হোসেন মিলনকে শান্তিপূর্ন ভাবে সংসার করার জন্য অনুরোধ করলে তার কথায় কর্নপাত না করে যৌতুকের জন্য সুমাইয়াকে মারপিট করে।

আসামি আলামিন হোসেন মিলন প্রায় সুমাইয়াকে হুমকি দেয় তার দাবিকৃত যৌতুক না দিলে তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে যৌতুক নিবে। ৩০ ডিসেম্বর সকালে আসামি আলামিন হোসেন মিলনের সাড়াপোলস্থ বাড়ির বসত ঘরে অবস্থানকালে আসামিরা সুমাইয়ার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।

যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামি নাজমুল হোসেন ও জাহানারা বেগমের সহযোগিতায়
আসামি আলামিন হোসেন মিলন স্ত্রী সুমাইয়াকে কাঠের লাঠি দিয়ে এলাপাতাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। আসামি জাহানারা বেগম চুল ধরে সুমাইয়াকে মাটিতে ফেলে দেয়।

২ নং আসামি নাজমুল হোসেন সুমাইয়ার বুকের উপর উঠে পাড়াতে থাকে। সুমাইয়া চিৎকার দিলে আলামিন হোসেন মিলন স্ত্রীর সুমাইয়ার মুখে গামছা পুরে দেয়।

এরপর এক কাপড়ে যৌতুকের টাকা আনতে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পিতার বাড়ি যাওয়ার পর আহত সুমাইয়াকে যমোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে সামান্য সুস্থ হয়ে থানায় মামলা করেন।