বেনাপোল পৌরসভার উন্নয়ন কাজে বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ

বেনাপোল পৌরসভার উন্নয়ন কাজে বাধা গ্রস্থ করার অভিযোগ উঠেছে সোহানা খাতুন ও যোহুর নামে দুইজন দুবৃত্তর। এই দুই জন সম্পর্কে ভাইবোন।

এরা বেনাপোলের তালশারী এলাকায় পৌরসভার ড্রেনেজ কাজে বাধাগ্রস্থ করেছে। এসময় ববিতা ও চায়না নামে দুইজন নারীকে তারা ধারালো দা দিয়ে কোপাতে গেলে এলাকার লোকজন তাদের বাধা দেয়।

স্থানীয় সাত্তার এর স্ত্রী চায়না খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুমে দিঘিরপাড় এর সানরাইজ স্কুলের পশ্চিম পাশের মানুষ পানিতে প্লাবিত থাকে। ঘর থেকে বের হতে পারে না।

এ বিষয়টি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলার রাশেদ আলী সমাধানের জন্য পানি নিস্কাশনের জন্য একটি ড্রেনেজ করতে গেলে বাধা দেয় সোহানা ও যহুর গং। গত কয়েকবছর যাবৎ পানি নিস্কাশনের জন্য ওই এলাকায় একমাত্র বাধাগ্রস্থ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই পরিবারটি।

তবে গত বছর তারা ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না বলে জানালে বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলার রাশেদ আলী আবার কাজে হাত দেয় ৬ জানুয়ারী।

সানরাইজ স্কুল থেকে মডেল স্ক‚ল পর্যন্ত ড্রেনের সিংহ ভাগ জমি এলাকার মানুষের। সকলে রাজী হলেও ওই পরিবারের একেবারে ড্রেনের মাথায় সামান্য একটু জমি থাকায় তারা আবারও কোন একটি মহলের ইন্ধনে বাধা দেয় । এলাকার মজনু মিয়ার স্ত্রী ববিতা খাতুন বলেন, আমরা বর্ষা মৌসুমে ঘর থেকে বের হতে পারি না।

এই এলাকাটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে। সামান্য জমি সোহানাদের ভাগে থাকায় তারা সেখানে খুটি পুতে ঘিরে দিয়ে বাধাগ্রস্থ করে পানি নিস্কাশন যাতে না হয়।

আমরা সকলে তাকে এ বিষয়টি বুঝাতে গেলে সে আমাদের ধারালো দা দিয়ে কোপাতে আসে। স্থানীয় বেনাপোল পৌর কাউন্সিলার রাশেদ আলী বলেন, সামাজিক উন্নয়ন কাজে বাধা গ্রস্থ করছে ওই একটি পরিবার।

স্বাধীনতার পর থেকে ওই পথ দিয়ে মানুষ চলাচল করে আসছে। এখন সেটি ড্রেনেজ করে উপর দিয়ে রাস্তা করার জন্য এবং মানুষের বসবাসের উপযোগি করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করার সময় বাধা দিচ্ছে।

এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে উন্নয়ন কাজে বাধা গ্রস্থ করছে। স্থানীয়রা বলেন ওই পরিবারটি অসামাজিক। এই জায়গাটি বেনাপোল পৌর মেয়র পরিদর্শন করার সময় তাদের কোন আপত্তি নেই বললে জানালে কাজটি করতে যায় স্থানীয় কাউন্সিলার।

তখন বাধা হয়ে দাড়ায় ওই পরিবারটি। তারা বাঁশ খুটি দিয়ে ঘিরে ফেলে ৫ দশক যাতায়াতের ওই পথটি।

এ বিষয় বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই মাসুম বিল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। রাস্তা বা ড্রেনটি মানুষের প্রয়োজন।

কারন ওই এলাকায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা হয়ে যায়। তবে যাদের জমি তারা আদালতে পিটিশন দিয়েছি রায় না হলে ওই জমির ওপর দিয়ে রাস্তা করা আইনগত দিক থেকে বিরত থাকতে হবে।