কর্তৃত্ববাদী আইনের অপব্যবহার এখনও হচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ঔপনিবেশিক প্রভুরা তাদের রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে কর্তৃত্ববাদী আইন করে গেছেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সেসব আইন এখনও রয়েছে। অনেকে এই আইনের অপব‍্যবহার করছে। গণতান্ত্রিক দেশে কর্তৃত্ববাদ চলতে পারে না। তাই আইন সংস্কারে সরকার কাজ করছে।

শনিবার ৮ জানুয়ারি রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে ‘কৃষিজের টেকসই উন্নয়নে বিদ‍্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব‍্যবহার’ শীর্ষক নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স ও প্রযুক্তির প্রদর্শনীতে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কর্তৃত্ব তারাই করে যারা কর্তা। ঠাকুর, পীর-ফকির বা অন‍্য কোন কর্তা হোক, যাদের হাতে কেতাব থাকেন তারাই কর্তৃত্ববাদী হন। আইনের প্রয়োগ আমলারা করেন।

আর আমাদের আইনগুলো ঔপনিবেশিক প্রভুরা তাদের প্রয়োজনে করে গেছেন। তাদের উদ্দেশ ছিল শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রেখে সম্পদ আহরণ করা। তারা যেহেতু এসব আইন বিলুপ্ত করে যায়নি।

এগুলো এখন আমাদের কাজ। তিনি বলেন, তাদের সময় সংসদ ছিল না। তাই তারা যেটা বলত, লিখত সেটাই আইন হয়ে যেত। তারা চাইলেই আইন বিলুপ্ত ও তৈরি করতে পারত।

কিন্তু এখন দেশে আইন আছে, সংবিধান আছে আমরা চাইলেই এগুলো পরিবর্তন করতে পারব না। আমাদের মহান সংসদের মাধ্যমে এগুলো পরিবর্তন করতে হবে।

আমার বিশ্বাস দল ও সরকার চায় এগুলো বিলুপ্ত করতে। কারণ এগুলো যেহেতু আইন হিসেবে বইয়ে আছে। তাই অনেকে অপব্যবহার করছে। আইন থাকার কারণে সরকার চাইলেও তাদের কিছু করতে পারছে না।

মন্ত্রী বলেন, গত ১২-১৩ বছরে এই দেশে যে পরিবর্তন হয়েছে তাতে ত্রুটি আছে, কিছু বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে অন্যায় কাজও করছে। তবে সার্বিক বিচারে আমরা উন্নয়নের দিকে বেশ এগিয়েছি।

দেশের পরিবর্তন বেশ দৃশ্যমান। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ক্ষুদাকে আমরা মোকাবিলা করতে পেরেছি। মোটা দাগে বিদ্যুৎ ও স্বাক্ষরতার পরিবর্তন হয়েছে। এগুলোর সবটাই একটানা কাজ করার ফলে অর্জন সম্ভব হয়েছে।

সরকার পরিবর্তন হলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামগ্রিক উন্নয়নে যে সরকার ভূমিকা রেখেছে। তাকে সামনে উন্নয়নের ধারা অব‍্যাহত রাখতে সুযোগ ও সমর্থন দিতে হবে।

আমি এখনও মনে করি প্রধানমন্ত্রী তার সময়ের কাজে উত্তীর্ণ। তার সাহসী পদক্ষেপের ফলে আমরা করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের চিকিৎসায় কোন সমস‍্যা হয়নি।