করোনায় মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল যুক্তরাজ্য

coronavirus

যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে পজিটিভ হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে দেড় লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শনিবার ৮ জানুয়ারি আরও ৩১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটিতে করোনা যে কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, এই পরিসংখ্যানেই তা ফুটে ওঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, মেক্সিকো ও পেরুর পর করোনায় দেড় লাখ মৃত্যু ছাড়িয়ে যাওয়া দেশ এখন যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে এখন এক লাখ ৫০ হাজার ৫৭ জনে।

খবরে বলা হয়, দেড় লাখ মানুষ, যারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে মারা গেছেন। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলছেন, করোনা আমাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষকে কেড়ে নিয়েছে। এই বিপর্যয় থেকে মুক্ত হওয়ার পথ হচ্ছে যারা টিকা নেননি, তারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।

আর যারা পূর্ণডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা বুস্টার নেবেন। বলেন, যে কোনো মৃত্যু বন্ধু, স্বজন ও কমিউনিটি তে বড় ধরনের শোক নিয়ে আসে। বিশ্বজুড়ে অতিসংক্রামক ওমিক্রনে আক্রান্তের বড় ধরনের ঢেউ বয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে নতুন করে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা পজিটিভ হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। গেল সাত দিনে এক হাজার ২৭১ জনের মৃত্যু হওয়ায় তা ৩৮ দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে গেছে।

মহামারির আগের ঢেউয়ে টিকা নেয়ার প্রভাব হিসাবে নিলে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা তড়িৎ গতিতে বাড়েনি। তবে বর্তমানে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুপস্থিতিতে হাসপাতালগুলো ব্যাপক চাপে আছে।

গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। করোনার চলমান প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যকর্মীরা।

বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, হাসপাতালে কর্মীদের সহায়তা করতে সেনাসদস্যদের পাঠানো হবে।