বিপিএল নিয়ে দুঃসংবাদ

দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসবের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। আর তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা থাকছেই।

আগামী ২১ জানুয়ারি বিপিএলের অষ্টম আসরের পর্দা উঠার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি এবং ড্রাফটের কাজও। এছাড়া দলগুলোও ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে।

নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেই বাকি ক্রিকেটারদেরও নেমে পড়ার কথা যার যার টিমের সঙ্গে। এছাড়া বিদেশি খেলোয়াড়দেরও আসার কথা নির্ধারিত সময়ে।

কিন্তু করোনার নতুন ঢেউ যেন কালো মেঘ হয়ে এসেছে বাংলার ক্রিকেটে। যদিও এখনই করোনা নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটছে না সরকার। তবে ঠিকই সতর্ক অবস্থানে দেশ।

আসছে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে করোনা প্রতিরোধে সারা দেশে ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। আর এমন বিধিনিষেধের মধ্যে এতবড় লিগ আয়োজন নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা হচ্ছে।

এছাড়া যেকোনো টুর্নামেন্টের প্রাণ দর্শকরা। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিপিএলে গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি নিয়েও ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

দর্শকরা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন কি না এ বিষয়ে সরকারি দিকনির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছে বোর্ড- জানিয়েছেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।

করোনাকালে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রথম আসর। দর্শক-সমর্থকদেরও উত্তেজনা তুঙ্গে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মাঠে দর্শক প্রবেশের সুযোগ রেখেছিল বিসিবি। এখনো নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি বোর্ড।

তবে সরকারের নির্দেশনায় সেখানেও আসতে পারে পরিবর্তন। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জালাল ইউনুস বলেন, সরকারের সঙ্গে যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল সেখানে আমরা ৫০ ভাগ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করেছিলাম।

কিন্তু এখন যদি সরকার মনে করে যে, ওমিক্রন ছড়ানোর সম্ভাবনার কারণে আমাদের আরও নির্দেশনা মানতে তবে আমরা রাজি। আলাপ-আলোচনা চলছে, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করচে সবকিছু, দেখা যাক আগামী কয়েকদিনে অবস্থা কি হয়।

বৈশ্বিক মহামারির জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খেলাধুলা। সম্প্রতি ক্রিকেটের বেশকিছু ইভেন্ট চলাকালীন করোনা আক্রান্ত হন ক্রিকেটার-কোচ- সাপোর্ট স্টাফরা। বিপিএলে এমন পরিস্থিতি সামনে আসলে করণীয় ভেবে রেখেছে বিসিবিও।

জালাল ইউনুসের মতে, আইসিসির বিধিনিষেধ আছে। খেলার কোনো প্লেয়িং মেম্বার করোনা আক্রান্ত হলে তাকে আইসোলেট করে নেওয়া। যদি চারজন বা পাঁচজন এমনভাবে করোনা ছড়িয়ে যায় তবে আরেকটা প্রটোকল আছে। আমরাও সেই প্রটোকল ফলো করব।

এদিকে, এখনই হাল ছাড়তে নারাজ ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। বরং মাঠে নামার অপেক্ষায় তারা। এক ফ্রাঞ্চাইজির তরফে জানানো হয়েছে, আসরে অংশ নিতে মুখিয়ে আছে তারা। তাদের বিশ্বাস, করোনা পরিস্থিতি যেমনই হোক, বিপিএল নির্ধারিত সময়েই হবে।