যশোরে দুই আসামির প্রবেশনে মুক্তি

court jessore
ফাইল ছবি

যশোরে পৃথক দুটি মামলায় দুই আসামিকে সাজা প্রদান করে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। বুধবার ১২ জানুয়ারি যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস মামলার রায়ে এ আদেশ দেন।

রায়ে আসামিদের নির্দিষ্ট শর্ত দেয়া হয়েছে। এসব শর্ত মেনে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থেকে বাড়িতেই তাদের সাজা ভোগ করতে হবে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট ভীম সেন দাস।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৮ আগস্ট চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে চৌগাছা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফিরোজ হুসাইনকে আটক করে পুলিশ।

এসময় তার কাছ থেকে দুই বোতল বিদেশেী মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চৌগাছা থানার এসআই মাহামুদুর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ মামলায় আদালত ১১ শর্তে দুই বছরের সাজা দিয়ে তাকে প্রবেশনে মুক্তি দেন। শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সাতটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পূর্নদের্ঘ চলচিত্র দেখতে হবে।

প্রতিমাসে দুইজন হতদরিদ্রকে দুপুরের আহার করাতে হবে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস ও সেবা গ্রহণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঁচটি বই বড়তে হবে।

১১জন নিরক্ষর ব্যক্তিকে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করতে হবে। ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট ঝিকরগাছা বাসস্টান্ড এলাকা থেকে একই উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত গোলাম আলী মৃধার ছেলে সিরাজুল ইসলামকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেনাপোল সার্কেলের সদস্যরা।

এসময় তার কাছথেকে তিন গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আদালত ১১ শর্তে দুই বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন।

তার শর্তের মধ্যে রয়েছে, করোনাকালীন সময়ে জনসচেতনাতা সৃষ্টি ও মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। নিজ বসতবাড়ির আঙিনায় তিনটি তালগাছ ও দুইটি নারিকেল গাছ লাগাতে হবে।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। পরিবারের উপর দায়িত্বশীল হয়ে পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখতে হবে। নিজ এলাকার একজন প্রতিবন্ধীতে পরিচর্যা ও আহার করাতে হবে। এছাড়া ।