‘মানুষ ভোট দেয় একজনকে, বিজয়ী হয় অন্যজন’

ফাইল ছবি

এখন ফলাফল পরিবর্তনের নির্বাচন কায়েম হয়েছে। মানুষ ভোট দেয় একজনকে, ফলাফলে অন্যজনের নাম ঘোষণা হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

শনিবার ১৫ জানুয়ারি জাপার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কয়েকজন আইনজীবী জিএম কাদের’র হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

তিনি বলেন, মামলা করলে ৫ বছরে মামলার রেজাল্ট আসে না, কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে।

রাবার স্ট্যাম্প নির্বাচন কমিশন হলে কেউ আর নির্বাচনে যাবে না, রাজনৈকি দল থাকবে না, দেশে রাজনীতিও থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা তলানিতে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, চলমান নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে একদল, আবার নৌকার সমর্থকরাই নৌকা ডুবিয়ে দিচ্ছে।

সাধারণ মানুষ যদি সঠিকভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারে তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না, জবাবদিহিতা থাকে না। দেশের মানুষ চায় একদিনের জন্য হলেও ভোটের মাধ্যমে তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।

জিএম কাদের বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর গণতন্ত্র নিপাত গেছে। একটি দল বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে, অন্যদলটি বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে।

একটি দল ভোট ডাকাতি শুরু করেছে, অন্যদল ক্ষমতায় এসে নির্বাচন কমিশনকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়েছে। এমন একটি দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, এমন দেশের জন্য বীর শহীদরা জীবন দেয়নি, এমন দেশের জন্য মা-বোনেরা সম্ভ্রম দেয়নি। দেশের মানুষ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।

দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায় না, দেশের মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। জুলুম, দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে প্রত্যাশা করছে, তাই প্রতিদিন বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ জাতীয় পার্টির পতাকাতলে যোগ দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে সবার আগে দেশের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে, তারপর দলের স্বার্থ এবং সব শেষে বিবেচিত হবে ব্যক্তিগত ইজ্জত ও সম্মানের বিষয়টি। এখন সবকিছু উল্টে গেছে যারা নিজের স্বার্থে লুটপাট করে, যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে তাদেরই মাথায় তুলে রাখা হচ্ছে।

এরপর লুটপাট ও শক্তি প্রদর্শনের জন্য দলের স্বার্থ দেখা হয়, সবশেষে দেখা হয় দেশের স্বার্থ। স্বাধীনতার আগে দেশের সম্পদ শুধু পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার হতো, এখন দেশের সম্পদ সারা বিশ্বে পাচার হচ্ছে।