রাশিয়া যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা করতে পারে

baiden

ইউক্রেনে যে কোনো সময় আগ্রাসন চালাতে পারে রাশিয়া বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কিয়েভের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে সংঘাতের আশঙ্কা করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন ন্যাটোপ্রধান। যদিও মস্কো কাউকে হুমকি দিচ্ছে না বরং পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবার মস্কোয় জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সের্গেই ল্যাভরভ জানান,

হুমকি থেকে নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতেই ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ইউরোপে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি যে সংঘাত চাই না। কাউকে কোনোভাবে আমরা হুমকিও দিচ্ছি না। তবে, পশ্চিমা দেশগুলো প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন আমাদের মূল বিষয়। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেন সীমান্তে তারা সেনা মোতায়েন করেছে।

কারণ তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় বলে আমাদের জানিয়েছে। এই নিরাপত্তা সবার জন্যই প্রয়োজন। আর তার জন্য দরকার আলোচনা। রাশিয়া বার বার অস্বীকার করলেও দেশটি যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

চলতি সপ্তাহেই রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইস্যুটি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলেও জানান হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার অবস্থান নিয়ে নিন্দা জানিয়েছে কানাডা।

কিয়েভের ওপর নিজেদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর মধ্যেই সংকট নিরসনে রাশিয়াকে নতুন করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটোপ্রধান।