সিইসি নূরুল হুদার মিথ্যাচারে হতবাক সুজন

cec km nurul huda
ফাইল ছবি

সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ করেন। তার এই বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে অভিহিত করেছে সুজন।

তারা বলছে, দেশের মর্যাদাপূর্ণ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে বসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার এমন মিথ্যাচার করতে দেখে আমরা হতবাক।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় সুজন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মিথ্যচারের প্রতিবাদ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বক্তব্যে বলা হয়, ২৭ জানুয়ারি সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘আরএফইডি টক উইথ কে এম নুরুল হুদা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগসহ কিছু কুরুচিপূর্ণ,

অশালীন, অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। যা মিথ্যাচার। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ড. বদিউল আলম মজুমদারের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেনের কোনও সম্পর্ক নেই এবং কোনোদিন ছিলও না।

তিনি কমিশন থেকে কখনো কোনো কাজ নেননি, অসমাপ্ত রাখার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। অর্থাৎ ড. মজুমদারের বিরুদ্ধে, সিইসির নিজের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কান কথার ভিত্তিতে উত্থাপিত, ১ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ এবং কাজ নিয়ে কাজ না করার অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তাই সিইসি হুদাকেই এসব অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। একইসঙ্গে জবাব দিতে হবে: তার কাছে এ সম্পর্কে কোনোরূপ তথ্য থাকলে তিনি কেন তা প্রকাশ করলেন না? কেন অভিযোগটি তদন্ত করলেন না? দুর্নীতি দমন কমিশনেই বা কেন তা পাঠালেন না?

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দলগুলো আদালতে যায়নি বলে সিইসি অজুহাত দেখিয়েছেন। কিন্তু ৭০টির মতো মামলা হয়েছে। একটিরও শুনানি হয়নি।

ব্যালট পেপার খুললে মধ্যরাতে ভোট হয়েছে প্রমাণ হতো। এছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে ব্যালট ইউনিটে ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার ওপেন করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল।

এমন অনিয়মের বিষয়ও উঠে এসেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, এরকম একজন খলনায়ককে সিইসি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ড. শাহদীন মালিক বলেন, সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার নিকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে ব্যক্তি আক্রমণ। সিইসির বক্তব্য অপ্রত্যাশিত।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, একজন বিদায়ের সময় ভুল ভ্রান্তি নিয়ে মাফ চায়, সুন্দরভাবে বিদায় নেয়। কিন্তু তিনি উল্টোটা করেছেন। সুজন নির্বাচন কমিশনের দেয়া কাজ করায় কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার হয়নি।