যশোরের শীতার্তদের পাশে ভাইস চেয়ারম্যান বিপুল

যশোর অঞ্চলে হঠাৎ শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। প্রচন্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ। এজন্য ঢাকা থেকে ফিরেই শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণে নেমে পড়েছেন করোনাকালের শুরু থেকে মানুষের পাশে থেকে নজর কাড়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল।

শনিবার তিনি শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতাধিক মানুষকে কম্বল দেন। এর আগে বুধবার রাতে যশোর রেলস্টেশন, চার খাম্বাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন।

আর শুক্রবার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বিতরণের জন্য দেন পাঁচশতাধিক কম্বল। এই কম্বল বিতরণ তিনি আরো কয়েকদিন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার কম্বল বিতরণের সময় তার সাথে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি জাবের হোসেন জাহিদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করিম রহমান,

শরীফ আব্দুল্লাহ আল মাস্ হিমেল, শহর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক তছিকুর রহমান রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, শামীম আহমেদ প্রমুখ।

জানা যায়, ২০২০ সালে করোনাকালের শুরু থেকেই যশোরের মানুষের পাশে দাঁড়ান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল।

মাস্ক, লিফলেট, হ্যান্ড স্যানেটাইজার বিতরণের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কর্মহীনদের বাড়িতে পৌঁছে দেন খাদ্য সামগ্রী। ২০২১ সালে কর্মহীন ১৮ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। এছাড়া শহরের আট হাজার পরিবারে পৌঁছে দেন আলু, পটলসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি।

শোকের মাস আগস্টে বিতরণ করেন দেড় লাখ প্যাকেট খাবার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে করোনাকালে ১১ কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন। এসব কর্মসূচির কারণে তিনি প্রসংসিত হন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তার উদ্যোগে ৭৫ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দেয়া হয়। ৭৫ প্রতিবন্ধী শিশুকে দেয়া হয় নতুন পোষাক। ৭৫ বিধবা মা উপহার হিসেবে পান নতুন শাড়ি।

৭৫ জন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে নতুন পাঞ্জাবি দিয়ে সম্মানিত করেন তিনি। ‘ক্রাউন জুয়েল’ শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তার এই সপ্তাহব্যাপী ভিন্ন আয়োজনও প্রসংসিত হয়। যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে যশোরে একজন গৃহহীনকে নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করে দেন নতুন বাড়ি।

আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, এবার শীতের তীব্রতা তেমন ছিলো না। এছাড়া ব্যক্তিগত কাজে আমাকে বেশকিছু দিন ঢাকায় থাকতে হয়। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে আমি যশোরে চলে এসেছি।

শীতার্তদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি। ২০২০ সালে করোনাকালের শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এখনো মানুষের পাশেই আছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে মানবিক যুবলীগ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে দীর্ঘদিন জেলায় কাজ করছি।

তারই ধারাবাহিকতায় যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের দিক নির্দেশনায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথেই যশোর জেলা যুবলীগকে মানবিক যুবলীগে রুপান্তরের জন্য কাজ করছি।