ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন যে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন মস্কো ইউক্রেন সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে না বলে অঙ্গীকার করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমানুয়েল ম্যাঁক্রো এ কথা জানান। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা বিবিসি ও আলজাজিরা।
কিয়েভে ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো বলেছেন, ইউক্রেনের কাছে আপাতত নতুন কোনো সামরিক কর্মকাণ্ড শুরু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অন্যদিকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য বড়সড় কোনো পদক্ষেপ নিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কি।
তার ভাষায়, ‘আমি আসলে মুখের কথা বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি (কথা অনুযায়ী) জোরালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সব রাজনীতিক স্বচ্ছ থাকতে পারেন।
এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। তার বেশ কিছু প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। রাশিয়া যুদ্ধের বিরোধী। ফলে উত্তেজনা কমানোর জন্য আরও আলোচনায় রাজি ক্রেমলিন।
ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছে।
এ ছাড়া ন্যাটোর সামরিক শক্তি বাড়াতে পূর্ব ইউরোপে বাড়তি সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পরিস্থিতি ম্যাঁক্রো রাশিয়া সফরে গেলেন।
ইউক্রেন সংকট তৈরির পর এই প্রথম পশ্চিমা দেশের কোনো নেতা রাশিয়া সফর করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পুতিন যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারেন ইউক্রেনে।
যদিও সে বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়ার পুতিন সরকার। রাশিয়া থেকে সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য ‘নর্ড স্ট্রিম-টু’ পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ চলছে।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে এবার সেই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে রাশিয়াকে সেই গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল জার্মানি।