ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের স্কুল-কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে শুরু হওয়া বিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে।
রাজ্যটিতে তিনদিনের জন্য সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও মঙ্গলবার সেখানকার একটি কলেজে হিন্দু-মুসলিম শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন ভারতের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেছেন, নারী কোন কাপড় পরবে, না পরবে সেটি ঠিক করার অধিকার নারীর
এবং ভারতীয় সংবিধানে তাদের সেই অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় প্রিয়াঙ্কা গন্ধী এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বুধবার সকালে টুইটারে দেওয়া ওই বার্তায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লিখেছেন, বিকিনি হোক কিংবা ঘোমটা, জিন্স বা হিজাব হোক, তিনি কী পরতে চান তা সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে একজন নারীর।
নারীর এই অধিকার ভারতীয় সংবিধানে নিশ্চিত করা হয়েছে। নারীদের হয়রানি করা বন্ধ করুন। এই টুইটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী #লাড়কি হু, লড়সাকতি হু (আমি নারী, আমি লড়তে জানি) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন।
এটি মূলত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মূল স্লোগান। মোট সাত দফায় রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ক্লাসরুম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার সমর্থনে গত সপ্তাহে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেসের আরেক শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধী।
সে সময় টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, হিজাবে বিধি-নিষেধ দিয়ে কার্যত ছাত্রীদের পড়ালেখায় বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ভারতের মেয়েদের ভবিষ্যৎ আমরা নষ্ট করছি। মা স্বরস্বতি সবাইকে জ্ঞান দেন। তিনি কোনো ভেদাভেদ করেন না।
মঙ্গলবার হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটকের একটি কলেজে হিন্দু-মুসলিম শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া ক্যামেরায় ধরা পড়া শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এই ভিডিওতে দেখা যায়, কর্ণাটকের একটি কলেজ চত্বরে হিজাব পরা এক ছাত্রী হাঁটছেন। এ সময় গেরুয়া ওড়না পরা একদল তরুণ তাকে ঘিরে হিজাববিরোধী স্লোগান দেন এবং হেনস্তা করেন।