ইউক্রেনে যুদ্ধ হবে ‘পাগলামি’: পোপ ফ্রান্সিস

রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনা ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। তার মতে, বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকটের নিরসন হবে।

যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে তাহলে তা হবে ‘পাগলামি’। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভক্তদের সঙ্গে দেখা করার নিয়মিত এ অনুষ্ঠানে পোপ ইউক্রেনে শান্তির জন্য আহ্বান জানান।

এসময় তিনি বলেন, আসুন আমরা ঈশ্বরের কাছেশান্তি প্রার্থনা অব্যাহত রাখি। ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা ও যুদ্ধের হুমকি যেন টানা আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ভুলে গেলে চলবে না, যুদ্ধ মানেই পাগলামি।

এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন দাবি করেছে, ইউক্রেন সীমান্তে আরও এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে তারা আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি দাবি করেন যে, রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে সেনাসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করা হচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে।

গত ২৪ ঘণ্টায়ও এসব কার্যক্রম ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তে অব্যাহতভাবে করা হচ্ছে বলে আমরা দেখতে পারছি। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে ঠিক কী পরিমাণ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে,

সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা আমরা উল্লেখ করতে পারছি না কারণ সীমান্তে মোতায়েন করা সেনার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উল্লেখ করে কিরবি বলেন,  ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তে তিনি (পুতিন) নিশ্চিত ভাবেই আরও এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছেন।

সেনা ও অন্যান্য সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তিনি অব্যাহতভাবে কাজ করছেন। এছাড়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত আরও ব্যাটালিয়ন ইউক্রেন সীমান্তে যাচ্ছে বলে আমরা ইঙ্গিত পেয়েছি।

এর আগে চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল যে, যেকোনো দিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন পুতিন। দিন দু’য়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাসভবন হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জ্যাক সুলিভান বলেন,

কয়েকদিন বা সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়া অবশ্য বারবারই দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই মস্কোর।

আর ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন করা হলেও সেনাসদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে রুশ ভূখণ্ডের ভেতরেই অবস্থান করছে।