বুধবারের পর বোঝা যাবে কোন পথে হাঁটছে রাশিয়া: ন্যাটো

রাশিয়াকে কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। ন্যাটোপ্রধান বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর বোঝা যাবে যুদ্ধ নাকি শান্তির পথে হাঁটছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে ন্যাটোপ্রধান বলেন, সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি না বাড়িয়ে রাশিয়ার আলোচনার টেবিলে বসা উচিত।

যুদ্ধ কিংবা আগ্রাসন নয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এখনো সম্ভব মনে করেন ন্যাটো বাহিনীর প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ইভান ডুকে মারকুইজের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে প্রস্তুত ন্যাটো।

ন্যাটো প্রধান বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন একদম অযৌক্তিক। সবার আগে রাশিয়াকে আগ্রাসী পথ ত্যাগ করতে হবে।

কথায় কথায় ইউক্রেনকে হুমকি দেওয়া থেকে সরে আসতে হবে। ন্যাটো বিশ্বাস কররে দু’দেশের বিরোধ নিরসনে শান্তি আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।

এ সময় ইউক্রেন ও রাশিয়াকে যুদ্ধের মনোভাব ছেড়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেনে রুশ হামলার শঙ্কার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, অতিরিক্ত মার্কিন সেনাদল পোল্যান্ডে পৌঁছেছে।

ন্যাটো সদস্যদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এ সেনা মোতায়েন করেছে পেন্টাগন। এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এমনটা আশা নিয়েই আমার এ সফর।

তবে রাশিয়ার গতিবিধি সম্পর্কে আমরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি। পুতিন বাহিনী যদি ইউক্রেনের কোনো অঞ্চলে বিন্দুমাত্র আগ্রাসন দেখায় কিংবা আক্রমণের চেষ্টা করে তাহলে তার জবাব কীভাবে দিতে হবে, তা আমরা জানি।