তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। কিন্তু বিএনপিই দুমড়েমুচড়ে এই ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে নগরীর আখালিয়ায় বেসরকারি মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাব স্থাপন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এদিন সিলেটে কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কয়েক ঘণ্টার সফরে বিমানযোগে সিলেটে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিএনপি এই ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করেছিল। পরতে পরতে বেআইনি কাজ করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই। পেছনের দরজা দিয়েও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন নাম প্রস্তাব না করার প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্র শেখাতে চায়।

তিনি বলেন, তাদের মুখে এমন সবক খুবই দুঃখজনক। তারা সবসময় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু সেই সুযোগ আর নেই। নির্বাচন করতে চাইলে তাদেরকে নির্বাচনের পথে আসতে হবে। তাদেরকে জনতার কাছে আসতে হবে। জনতাই হচ্ছে ভোটের মালিক, দেশের মালিক।

তিনি বলেন, স্বচ্ছ ইলেকশন কমিশন হবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে যে নির্বাচন হবে, সেটা অবশ্যই স্বচ্ছ হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন কমিশন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, খোদ আমেরিকাতেই কোনো নির্বাচন কমিশন নেই। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেই নির্বাচন করে। আমরা এ দেশে নির্বাচন কমিশন করি, যাতে স্বচ্ছ নির্বাচন হয়। কারণ আমরা সবসময় গণতন্ত্র ও স্বচ্ছ নির্বাচনে বিশ্বাসী।

জিয়াউর রহমানের সময়কার ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যখন ক্ষমতায় আসলেন, তখন ইয়েস নট ভোট দিলেন। ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালনকারীদের বলে দিলেন যাতে সবাই ইয়েস ভোট দেয়।

এতে ৯৮ শতাংশ ভোট পড়ে ইয়েস-এ। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরে তা কমিয়ে ৮৮ শতাংশ করা হয়। বিএনপি এভাবেই সবসময় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং আসার চেষ্টা করেছে।

ড. মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে সিলেটের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ভৌগলিক কারণে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত সাতটি রাজ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা প্রদানের অনেক সুযোগ রয়েছে।

এখন সিলেটসহ সারাদেশ থেকে অনেক মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সিলেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান উন্নত করা গেলে ভারতের সেভেন সিস্টার থেকে রোগীরা এ অঞ্চলে সেবা নিতে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।