যশোরে কিশোরী অপহরণের চারদিন পর উদ্ধার, গ্রেফতার ২

কিশোরী তাসনিয়া খাতুন (১৫) কে দিনদুপুরে অপহরণ করার অভিযোগে শনিবার সকালে কোতয়ালি মডেল থানায় দু’জনের নাম উল্লেখসহ সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২/৩জন উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

মামলাটি করেছে যশোর সদর উপজেলার ১১ নং রামনগর ইউনিয়নের তুলাগোলদারপাড়া গ্রামের মৃত হাতেম আলীর স্ত্রী অপহৃতা কিশোরীর নানা আবু দাউদ গাজী।

মামলায় আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার তুলাগোলদারপাড়ার আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে রবিন গাজী ওরফে রবেন ও মকবুল গাজীর ছেলে রুম্মানসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

অপহরনের ৪দিন পর খুলনা লবনচরা থানাধীন কৃষ্ণনগর বাজারস্থ জনৈক জাফর মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া রবেন এর খালাতো ভাই নয়নের বাসা হতে আসামী দু’জনকে গ্রেফতার ও কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বাদি উল্লেখ করেন, তার নাতনী তাসনিয়া খাতুন মণিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ও মোছাঃ তানজিলা বেগমের মেয়ে। নাতনী তার মা বাবার সাথে ঢাকায় লেখাপড়া করে।

মাঝে মধ্যে কিশোরী তার নানা বাড়িতে বেড়াতে আসতো। বেড়াতে আসার পর রবিন গাজী ওরফে রবেন উত্যক্ত করতো এবং বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করার জন্য ফুসলাতো।

নাতনী তার নানাকে বিষয়টি জানালে নানা রবেনকে এহেন কাজ করতে নিষেধ করলেও সে কর্নপাত করেনি। বাদির মেয়ে তানজিলা বেগম তার কিশোরী মেয়েকে নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকা থেকে যশোর সদর উপজেলার তুলাগোলদারপাড়া আবু দাউদ গাজীর বাড়িতে বেড়াতে আসে।

নাতনী নানার বাড়িতে অবস্থান কালে রবেন রুম্মানের সহায়তায় বাদির নাতনীকে অপহরণ করার জন্য গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে।

১৫ ফেব্রুয়ারী কিশোরী বাড়ি হতে সতীঘাটা বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি বাইরে পায়ে হেটে বিকেল ৩ টায় তুলাগোলদারপাড়াস্থ যশোর সাতক্ষীরা রোড পাকা রাস্তার উপর পৌছালে রবেন রুম্মান ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় পূর্ব পরিকল্পিতবাবে একটি সাদা রংয়ের নাম্বার বিহীন প্রাইভেট কারে কিশোরী তাসনিয়া খাতুনকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে।

এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে প্রাইভেটকারটি রাজারহাটের মোড়ের দিকে দ্রুত চলে যায়। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন শনিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২ টায় খুলনার উক্ত বাড়ি হতে কিশোরীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে আদালতে ও কিশোরীর ২২ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।